সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুরজার। সম্প্রতি সাহারানপুরে এক সনাতন সম্মেলনে যোগ দিয়ে তাঁর বার্তা, ‘গো হত্যাকারীদের যেখানেই দেখবেন ছাড়বেন না, ওদের গলা কেটে দিন।’ বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।
গাজিয়াবাদের লোনির এই বিজেপি বিধায়ক সম্প্রতি সনাতন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “যদি আপনারা কোনও গোহত্যাকারীকে সামনে পান তবে তাঁর সামনে হাতজোড় করবেন না। বরং আপনাদের উচিৎ তাঁদের গলা কেটে নেওয়া। এইসব লোকেদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিৎ। গরু আমাদের মা। আমরা কখনও আইন হাতে তুলে নেইনি। কিন্তু মাকে রক্ষা করা প্রত্যেক সন্তানের কর্তব্য। ফলে দুর্বল হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।” শুধু তাই নয়, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে যারা মশকরা করে তাঁদেরও শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিধায়ক। বলেন, ”নিজেদের সম্পর্কে কুমন্তব্য শুনেও হিন্দুরা চুপ থাকেন। কিছু লোক বই পড়ে মা জানকীকে নিয়ে মনগড়া মন্তব্য করেন। এক মৌর্য (স্বামী প্রসাদ মৌর্য) ঘুরে ফিরে হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে মশকরা করে চলেছেন। আর আমরা চুপচার শুনছি। এবার এইসব লোকেদের জব্দ করতে হবে।”
লোনির বিধায়ক আরও বলেন, “আগে এখানে (সাহারানপুরে) মাংস ও হাড়ের কারখানা ছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে গরু জবাই করা হত। ভরা বাজারে মেয়েদের অপহরণ করা হত। তাদের গুলি করা হত। আমার চার রাস্তায় যত জেহাদি আছে, সাহারানপুরেও তত জেহাদি আছে। কিন্তু এখন কেউ আঙুল তোলার সাহস করে না। আজ, মহিলারা অলংকার পরেন এবং সেই এলাকা দিয়ে হেঁটে যান যেখানে একসময় বিকেল ৫টার পর পুরুষরাও বাইরে বের হতেন না।”
তবে নন্দকিশোরের বিতর্কিত বয়ান এই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০২৩ সালে পুরনির্বাচনের সময় এই নেতা বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি মদ, মাংস খান তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে না। নেতা কখনও এমন হবে না যে মদ খেয়ে ধর্ষণ করে, জংলি পশুর মতো মাংস চিবিয়ে খায়। ওই বছর তাঁর আরও এক মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়।” যেখানে তিনি বলেন, ”যদি নিজেকে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী দাবি করে কেউ জোর করে ঘরে ঢোকে তাহলে তাঁকে সেখানেই খুন করে ফেলুন। যদি নিজে মারতে না পারেন আমায় ডাকবেন আমি গিয়ে খুন করে দেব।”