ভোটে বিপর্যয়, কংগ্রেসের অন্দরেই ক্ষোভ বাড়ছে বেণুগোপালের বিরুদ্ধে
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিহারে দলের বেহাল দশার জন্য প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশনকে ‘ভিলেন’ করে কংগ্রেস মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে ঠিকই। তবে আদতে দলের অন্দরে সংগঠনের বেহাল দশা নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ বাড়ছে দলের অন্দরে। অভিযোগের আঙুল উঠছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ঘনিষ্ঠ কেরলের সাংসদ কে সি বেণুগোপালের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে তাঁকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস সংগঠন চাঙ্গা হয়েছে, এমন দৃষ্টান্ত দূরবীণ দিয়ে খোঁজার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রদেশ নেতৃত্বের মত।এআইসিসির একাংশেরও অভিযোগ, মাটির সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্রেফ তাঁবেদার একাংশ নেতাদের ডেটা, ওয়াররুমের রিপোর্ট ইত্যাদি কর্পোরেট আদলে সাজিয়ে কংগ্রেস চলছে। এমনকি বেণুগোপালের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ যে, তিনি কংগ্রেস নেতানেত্রীদের সঙ্গে দেখাই করেন না।
অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে মহারাষ্ট্রের এক কংগ্রেস নেতাকে আক্ষেপ করে বলেছেন, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পেয়ে যাবেন। কিন্তু বেণুগোপালের সময় পাবেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এআইসিসির এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, বেণুগোপালের মাপকাঠি হল তিনি রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ঘনিষ্ঠ। মাটির সঙ্গে সম্পর্ক, রাজ্যে রাজ্যে কীভাবে সংগঠন চাঙ্গা হবে, তার কোনও দাওয়াই তাঁর জানা নেই। অথচ তাঁর কথাই শোনেন রাহুল।
বেণুগোপালকে বিশ্বাস করেন রাহুল গান্ধী। কাছাকাছি রাখেন। সংসদীয় দলে তাঁর কোনও পদ না থাকলেও বিরোধী দলনেতার প্রথম সারিতে নিজের আসনের ঠিক পাশেরটিই বেণুগোপালকে বসিয়েছেন রাহুল গান্ধী। যেখানে লোকসভায় দলের ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈয়ের স্থান দূরে। দলের অন্দরে বেণুগোপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। কিন্তু রাহুল কি আদৌ সেই ক্ষোভের আঁচ পাচ্ছেন? এআইসিসির অলিন্দে প্রশ্ন সেটাই।