পাটনা: বিহারে ভোটে জয়ের পর মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে জোর তৎপরতা এনডিএ শিবিরে। সোমবার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিন বিদায়ী মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক হয়। এরইমধ্যে মন্ত্রিত্ব নিয়ে শাসক শিবিরের অন্দরে তুমুল দরকষাকষি চলছে বলে খবর। এবার জেডিইউ-র আসন অনেকটাই বেড়েছে। সেজন্য বেশি সংখ্যায় মন্ত্রিত্ব চাইছে নীতীশের দল। জানা গিয়েছে, নয়া মন্ত্রিসভায় বিজেপি ও জেডিইউ থেকে ছ’জন নতুন মুখ আসতে পারেন। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার পাটনার গান্ধী ময়দানে আরও একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিতে চলেছেন নীতীশ। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ এনডিএ জোটের শীর্ষ নেতানেত্রীরা। ইতিমধ্যেই শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে গান্ধী ময়দান।
সূত্রের খবর, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি থেকে তিনজন মন্ত্রী হতে পারেন। অন্যদিকে হাম ও আরএলএম একজন করে মন্ত্রী পেতে চলেছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মন্ত্রী হবেন বিজেপি থেকে। তাদের ১৬ বিধায়ক মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন। জেডিইউ থেকে মন্ত্রী হতে পারেন ১৪ জন। জেডিইউ-র এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘গত মন্ত্রিসভায় আমাদের ১২ সদস্য ছিলেন। এবার আমাদের আসন সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা আরও বেশি মন্ত্রিত্ব চাইছি।’
সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভায় জেডিইউ-র নতুন মুখ হতে পারেন রাহুল কুমার সিং, সুধাংশু শেখর, কালাধার প্রসাদ মণ্ডল ও পান্না লাল সিং প্যাটেল। বিদায়ী ক্যাবিনেটে থাকা বিজেপি বিধায়করা এবারও মন্ত্রী হবেন বলে সূত্রের খবর। তবে ৩-৪ জন নতুন মুখকেও নিয়ে আসার কথা ভাবছে দল। এই তালিকায় থাকতে পারেন রানা রনধীর, গায়ত্রী দেবী, বিজয় কুমার খেমকা।
অন্যদিকে, রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন হাম সুপ্রিমো জিতন রাম মাঝি ও আরএলএম সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়া। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়েও। সূত্রের খবর, সেখানে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই শরিক দলের নেতাই নিজেদের দাবি জানিয়ে এসেছেন। ফলে, বিহারের নতুন মন্ত্রিসভার চেহারা কেমন হয়, তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে।