এসআইআর নয়, অসমে হবে স্পেশাল রিভিশন, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের, পূরণ করতে হবে না ইনিউমারেশন ফর্ম
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিরোধীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত অসমেও ভোটার তালিকায় রিভিশনের ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। তবে বিজেপি শাসিত অসমে হবে না স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর। বলা হয়েছে, অসমে শুরু হচ্ছে স্পেশাল রিভিশন। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্য রাজ্যের ভোটারদের মতো ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে না অসমে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। আজ ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ফর্ম ছাপার কাজ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুথ লেভেল অফিসারস (বিএলও) যাওয়া আরম্ভ করবেন ২২ নভেম্বর থেকে। এই পর্ব চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২৭ ডিসেম্বর। আর তারপর নাম সংশোধন, সংযোজনের কাজ শেষে ফাইনাল লিস্ট বের হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। কমিশনের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সরকারের তরফে কমিশনকে সবরকম সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমিশন জানিয়েছে, আঠেরো ঊর্ধ্ব ভারতের নাগরিক এবং অসমের কোনও কেন্দ্রের সাধারণ বাসিন্দা হলেই তার নাম ভোটার তালিকায় উঠবে। বা থাকবে। অসমে যেহেতু এনআরসি চলছে, রয়েছে ডি-ভোটার (ডাউটফুল ভোটার অর্থাৎ যারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে এখনও প্রমাণ দিতে পারেনি অথচ অসমে বাস করছেন। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে) সমস্যা, তাই অসমে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হলেও এসআইআর হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন কমিশনের মুখপাত্র আশিস গোয়েল।
তাই কমিশন ঠিক করেছে, যেসব ক্ষেত্রে ডি-ভোটার ইস্যু রয়েছে, সেখানে স্পেশাল রিভিশনের ফর্মে নতুন করে কিছু লেখা হবে না। যা আছে, সেটিই নথিভূক্ত হবে। যতক্ষণ না আদালত কিছু জানাচ্ছে, ততক্ষণ তাদের নামের তালিকা নিয়ে কোনও কাটাছেঁড়া হবে না। বাকিদের ক্ষেত্রে বিএলও বাড়ি বাড়ি যাবেন। কেউ বাড়িতে না থাকলে তিনবার বিএলও যাবেন। তারপর লিখে দেবেন বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
কোনও বাড়ির ক্ষেত্রে যদি সঠিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে একটি আপাত নাম্বার দেওয়া হবে। ‘শূন্য’ লেখা হবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। বিহারে এসআইআরে বহু ক্ষেত্রে বাড়ির ঠিকানা ‘শূন্য’ দেওয়ার ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশন জ্ঞানেশ কুমারের নাম করে প্রবল সমালোচনা করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেই সমালোচনা এড়াতেই অসমে কমিশন নিজেদের শুধরে নিয়েছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। কমিশন জানিয়েছে, পঞ্চায়েত বা পুরসভা যদি কোনও বাসিন্দার ঠিকানায় কোনও নাম্বার না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন ভোটার তালিকা রিভিশনের ক্ষেত্রে আপাত নাম্বার বা নোশনাল নাম্বার দেবে। লেখা হবে এন ওয়ান, এন টু ইত্যাদি।