• এসআইআর: মৃত ভুবনচন্দ্রের বাড়িতে গেলেন ঋতব্রত-গৌতম
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রাজগঞ্জ: এসআইআরের চাপ ও নির্বাচন কমিশনের তৎপরতাকে ঘিরে রাজ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তারই বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সোমবার এমনই অভিযোগ তুলেলেন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আমবাড়িতে এসআইআর আতঙ্কে মৃত ভুবনচন্দ্র রায়ের (৬১) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ঋতব্রত। তাঁর দাবি, গভীর উদ্বেগের জেরে মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দিনমজুর ভুবনবাবু। 

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাড়ির কিছু দূরে গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। ওই ঘটনার পর এলাকায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় মৃতের বাড়িতে আসেন। তাঁদের দাবি, ভুবনচন্দ্র রায়ের মৃত্যুর জন্য বিজেপিই দায়ী। 

    অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, ভুবনবাবু বিজেপির সমর্থক ছিলেন। ছ’মাস আগে তৎকালীন তৃণমূল বুথ সভাপতি চক্রান্ত করে ভুবনবাবুর মেয়ের নাম সহ একাধিক বিজেপি ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছিল। এখন সেই তৃণমূলই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। 

    ঋতব্রত বলেন, বিজেপির চাপে নির্বাচন কমিশন দু’বছরের কাজ দু’মাসে করাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিএলওরাও আতঙ্কে রয়েছেন। অন্যদিকে, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী সদস্য বিজেপির নিতাই মণ্ডলের বক্তব্য, ঋতব্রতবাবু কিছুই জানেন না। ভুবনবাবুর মেয়ের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ছ’মাস আগে। সেই সময়ে বুথ সভাপতি ছিলেন তৃণমূলের একজন, যিনি বেছে বেছে বিজেপি ভোটারদের নাম কেটেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেই লিখিত অভিযোগ রয়েছে। 

    অন্যদিকে, এদিন বিকেলে মৃত ভুবনচন্দ্র রায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। তিনি জানান, ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভুবনবাবু আতঙ্কিত ছিলেন। সেই থেকেই এই ঘটনা। আমরা পরিবারটির পাশে আছি।
  • Link to this news (বর্তমান)