ছাগলের টোপে অরুচি চিতাবাঘের কুকুরের উপর হামলা, উদ্বেগে বনদপ্তর
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বাগডোগরা: টোপ হিসেবে দেওয়া ছাগলে অরুচি চিতাবাঘের। কুকুর হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল টার্গেট। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ছাগলের টোপে ধরা দিল না চিতাবাঘ। এদিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একের পর এক কুকুরের উপর হামলার ঘটনা ভাবাচ্ছে বনদপ্তরকে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ত্রাস হয়ে ওঠা সেই চিতাবাঘটি এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অনুমান। তাই চিতাবাঘ ধরতে এবার অস্থায়ীভাবে পথকুকুরগুলিকে সরানোর চিন্তাভাবনা করছে বনদপ্তর। যদিও তা কতটা কার্যকর করা সম্ভব তার নিশ্চয়তা আপাতত নেই।
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩নং গেট সংলগ্ন এলাকায় এক যুবকের উপর হামলার পর থেকে ভীষণ আতঙ্কে রয়েছেন পড়ুয়া থেকে স্থানীয়রা। প্রথমে একটি পরে আরও একটি খাঁচা বসানো হয়েছে ছাগলের টোপ দিয়ে। তবে সেই ফাঁদে কিছুতেই পা দিচ্ছে না বন্যপ্রাণীটি। বরং সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জায়গায় পথকুকুরের উপর হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি একাধিক কুকুর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
বনদপ্তরের বাগডোগরার রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে একাধিক সমস্যা সামনে আছে এই ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর জঙ্গল ও চা গাছগুলি পরিষ্কারের পাশাপাশি পথকুকুর নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। পথকুকুরের লোভেই লোকালয়ে আসছে চিতাবাঘটি। নিয়মিত কুকুর পেয়ে থাকলে সেই লোভে বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে জন্তুটি। এমনকী ভবিষ্যতে এই এলাকায় বংশবৃদ্ধি হলে পঠনপাঠন ও স্থানীয়দের বসবাস নিয়েও সংশয় থাকছে। তাই এত পরিকল্পনা করেও যখন আর উপায় হচ্ছে না, তখন পথকুকুর সরিয়ে রেখে অভিযান করতে চাইছে বনদপ্তর। এজন্য একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন ও বনদপ্তরকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনের সভাপতি সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রচুর পথকুকুর রয়েছে ক্যাম্পাসে। রবিবার ফের একটি কুকুরের উপর হামলা চালিয়েছে চিতাবাঘ। এখান থেকে পথকুকুরগুলিকে কয়েকদিনের জন্য অন্যত্র সরাতে সেরকম ভালো শেল্টার নেই এলাকায়। তবে অসম্ভব হলেও বনদপ্তর ও সমস্ত পশুপ্রেমী সংগঠনের সহায়তায় সম্ভব হতে পারে। আমরা বনদপ্তরের পাশে রয়েছি। প্রয়োজনে একসঙ্গে কাজ করব।