সংবাদদাতা, সিউড়ি: পারদ নামতেই বীরভূমের দুবরাজপুরের মামা-ভাগ্নে পাহাড় চত্বরের অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে ভিড় করছেন পর্যটকরা। কিন্তু তার মধ্যেই ওই এলাকায় বাড়ছে দূষণ। মামা-ভাগ্নে পাহাড় ও তার সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ভাঙা মদের বোতল, প্লাস্টিকের গ্লাস ও থার্মোকলের মতো পরিবেশ দূষণকারী নানা দ্রব্য। ফলে স্থানীয়রা মামা-ভাগ্নে পাহাড় ও তার জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য দ্রুত আবর্জনা পরিষ্কারের দাবি তুলেছেন।
জেলার একাধিক পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতমএই মামা-ভাগ্নে পাহাড়। সঙ্গে রয়েছে পাহাড়েশ্বর মন্দির চত্ত্বর। সেখানেই প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। শীতে বাড়তে থাকে এই জমায়েত।আসলে পিকনিকের এই মরশুমে মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের চাহিদা থাকে অনেক বেশি।
জেলার মধ্যে অন্যতম পিকনিক স্পট হিসাবে পরিচিত এই মামা-ভাগ্নে পাহাড় চত্ত্বর। একদিকে মনোরম পরিবেশ, তার সঙ্গে গাছগাছালিতে ঢাকা এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের প্রাকৃতিক শিলাস্তর, প্রকৃতিপ্রেমী ও ভূতাত্ত্বিকদের কাছে সমান আকর্ষণীয়। তাই এই এলাকাকে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখা ভীষণ প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন দাস, ফাল্গুনী দাস, দেবপ্রিয় মণ্ডলরা বলেন, এই এলাকা মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই পরিচিত। তাই এই জায়গা আবর্জনামুক্ত করতে পুরসভার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। আর যেভাবে এই পাহাড় এলাকায় মদের বোতল পড়ে রয়েছে, সেনিয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে, দুবরাজপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহড় চত্বরে জঙ্গলঘেরা এলাকায় সুলভ শৌচালয় থেকে শুরু করে পানীয় জল সব ব্যবস্থাই আছে। এছাড়া, মন্দির চত্ত্বরে একটি পার্কও আছে। সেটিকে আরও ভালোভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুরসভা। যাতে আরও নতুন কিছু দোলনা থেকে শুরু করে নানান জিনিস সেখানে বসানো যায়। সেই টাকা এলেই পার্কের সৌন্দর্যায়ন হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, ওই এলাকায় সব ব্যবস্থা আছে। গাছ-গাছালিতে ঢাকা এলাকা। সেখানে তো গাছের পাতা বা ওই জাতীয় আবর্জনা থাকবেই। তবে আমরা পরিষ্কারের বিষয়টি দেখব। এছাড়া পার্কটিকে