বাড়ছে ভৈরব পুজো, আয়োজনে বড়দের সঙ্গে পাল্লা ছোটদেরও
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বহরমপুর: বহরমপুর শহরে ছোটদের উদ্যোগে ভৈরব পুজোর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। শহরের অলিগলিতে ছোটদের পুজো কমিটি গজিয়ে উঠছে। পাড়ায় পাড়ায় ভৈরব পুজো উদ্যোক্তাদের বয়স দশ থেকে বারো বছরের মধ্যে। তবে ছোটদের উদ্যোগে পুজো হলেও শিবের আকৃতিতে অনেক জায়গায় বড়দের প্রতিমাকে খুদেরা টেক্কা দিয়েছে। পাশাপাশি ছোটরা বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বহু জায়গায় খিচুরি ভোগের আয়োজন করেছে। কোথাও ভক্তদের বসে খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও কন্টেনারে হাতে হাতে ভোগ বিতরণ করা হচ্ছে। খিচুরির সঙ্গে থাকছে আলুর দম, চাটনি, মিষ্টি। ছোটদের উদ্যোগে পুজো হলেও উপাচার এবং উন্মাদনায় ঘাটতি নেই কোথাও। তবে প্রতিমা এবং ডিজের উচ্চতা উদ্যোক্তাদের অপেক্ষা বেশ বেশি। ছোটদের পুজো তাই শব্দ দাপট মুখ বুজে সহ্য করছেন পাড়ার লোক।
খাগড়া জয়চাঁদ রোডের নীল চৌধুরীর অভিভাবক শিবের নামেই ছেলের নাম রেখেছিলেন। নীল শিশু অবস্থা থেকেই শিবভক্ত। কৈশোরে পা দিয়েই নীল আকাশ মুখোপাধ্যায়, রোহন মণ্ডল, রুদ্রনীল চট্টোপাধ্যায়দের নিয়ে বন্ধু কমিটি গড়ে পাড়ায় ভৈরবের পুজো শুরু করে। এবার পঞ্চম বর্ষ। নীল চৌধুরী বলে, ভৈরব পুজো যেমন করি একইভাবে সরস্বতী পুজোও করি আমরা। যারা আসে সবাইকে খিচুরি ভোগ দিই। খুব মজা হয়।
সুতির মাঠের ভৈরব পুজো কমিটির নাম শিশু সংঘ। আর ভৈরবের নাম ‘ছোট বাব’’। বাবা নামে ছোট হলেও উচ্চতায় দশ ফুটের বেশি। শিশু সংঘের ভৈরব পুজো এবার চার বছরে পা দিল। সদস্য সংখ্যা চোদ্দজন। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত আয়োজন সংগঠনের সদস্যরাই করে আসছে। পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা আকাশ পাল বলে, শহরে প্রচুর ভৈরব পুজো হলেও আমাদের পাড়ায় চল ছিল না। আমরা কয়েকজন অভিভাবকদের অনুমতি আদায় করে পুজো শুরু করি। এখন জাঁকজমক করেই হয়। বন্ধু কমিটি, শিশু সংঘের পাশাপাশি বালক সংঘ, তরুণ দল সহ একাধিক নামে বহরমপুরে এবার এক ডজনের বেশি ভৈরব পুজো হচ্ছে ছোটদের উদ্যোগে।