• বাংলায় ছাপানো ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণে সমস্যায় জনজাতিদের একাংশ
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: অসম সীমানায় রাজ্যের প্রান্তিক জেলা আলিপুরদুয়ার। রাজ্যের এই জেলাকে বলা হয় ‘মিনি ভারত’। যে জেলায় ধীমাল, মুণ্ডা, আদিবাসী, বোড়ো, মেচ, টোটো ও ডুকপা সহ ৩৬ জনজাতির বাস। যাঁদের সিংহভাগই হিন্দিতে কথা বলেন ও পড়াশুনা করেন। ফলে এসআইআরের কাজে বাংলা হরফে ছাপানো ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণ করতে সমস্যায় পড়েছেন জেলার জনজাতি মানুষের একটা অংশ। 

    বিজেপি জেলায় ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণে ভাষাগত এই সমস্যা তৈরির দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপিয়েছে। এই সমস্যায় সাহায্য করতে তৃণমূল চা বাগান ও বনবস্তি এলাকায় হেল্প ডেস্ক চালু করেছে। ভাষাগত এই সমস্যার কথা স্বীকার করে প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, তার জন্য বিএলওদের সঙ্গে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। 

    জেলায় ৬৪টি চা বাগান ও প্রচুর বনবস্তি রয়েছে। জেলার চা বলয় ও বনবস্তি ধরে সাড়ে তিন লক্ষ ভোটারের বসবাস। এর বাইরেও জেলায় ৫০ হাজার হিন্দি ভাষাভাষি মানুষের বসবাস করেন। ফলে বাংলায় ছাপানোর কারণে ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। 

    তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, সেজন্যই তো আমরা বাগানে ও বনবস্তিগুলিতে হেল্প ডেস্ক চালু করেছি। যাতে ফর্ম পূরণ করতে কারও কোনও সমস্যা না হয়। 

    বিজেপি অবশ্য এই সমস্যার জন্য রাজ্য সরকারের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে। বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউয়ের চেয়ারম্যান সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, এই সমস্যার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারই এই ফর্ম ছাপিয়েছে। রাজ্যের উচিত ছিল তখনই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের গোচরে আনা। কিন্তু রাজ্য তা করেনি। 

    জেলা প্রশাসন অবশ্য এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার ওসি ইলেকশন শুভ্র নন্দী বলেন, সেই জন্যই তো বাংলা ভাষায় দক্ষ এমন একজন অতিরিক্ত কর্মীকে বিএলওদের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুপারভাইজাররাও রয়েছেন। কোনও সমস্যা নেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)