চিকিৎসায় সাহায্যের নাম করে তরুণীকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, ধৃত অভিযুক্ত
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চিকিৎসায় সাহায্য করার নাম করে তরুণীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। কসবা থানা এলাকার একটি হোটেলে তাঁকে নিয়ে গিয়ে বিরিয়ানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোক্তার আলম নামের ওই অভিযুক্তকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে কড়েয়া থানা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর স্বামী কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন। তরুণী কলকাতায় থাকেন পরিবারের সঙ্গে। সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় ওই মহিলা তাঁর দেওরের সঙ্গে একটি কফি শপে যান। দেওরের সঙ্গে গিয়েছিল তাঁরই বন্ধু মোক্তার। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় গৃহবধূর। তরুণী একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। মোক্তার কোনওভাবে তাঁর ফোন নম্বর জোগাড় করে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান। তরুণী সেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে দিলেও সেখানে যাননি মোক্তার। ১২ সেপ্টেম্বর তরুণী গৃহবধূ অসুস্থ বোধ করলে ওই যুবককে ফোন করেন। তখন মোক্তার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বের হন। অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁকে বাবুঘাটে নিয়ে আসে ওই যুবক। সেখানে নরম পানীয়ের সঙ্গে কিছু খাওয়ানোর পর তিনি ঘোরের মধ্যে চলে যান। মহিলার দাবি, ঘোর কাটলে দেখেন, হোটেলের ঘরে রয়েছেন। সেখান থেকে ভোর ৩টে নাগাদ বেরলেও কোনও গাড়ি না পাওয়ায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর তাঁকে বিরিয়ানি খাওয়ান ওই যুবক। সেই খাবার খাওয়ার পর ফের আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। ওই অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেখান থেকে কোনওক্রমে তিনি পালিয়ে এসে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ধর্ষণের কেস রুজু করেছে। অভিযুক্ত মোক্তারকে রবিবার রাতে গ্রেফতারের পর সোমবার আলিপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। অভিযুক্তের আইনজীবী মহম্মদ ফুরকান আনসারি বলেন, তাঁর মক্কেল জোর করে নিয়ে যাননি তরুণীকে। ওই মহিলা নিজের ইচ্ছায় তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন। আর ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সরকারি আইনজীবী সাজ্জাদ খান বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। সওয়াল শেষে মোক্তারকে পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত।