• বিজেপি নেতার দুয়ারে ডজন খানেক কার্তিক, ঘরে তুললেন একজোড়া
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লালবাজার কিংবা নবান্ন অভিযান নতুন কিছু নয়। কিন্তু, এসআইআর পর্বে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে এবার খোদ বিজেপি নেতার বাড়িতে ‘কার্তিক অভিযান’! বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের বাড়িতে ডজন খানেক কার্তিকের মেলা! দরজা খুলতেই সামনের সিঁড়িতে একের পর এক ছোটো-বড়ো কার্তিক ঠাকুরের মূর্তি। কিন্তু, এতগুলি কার্তিকের তো আর পুজো সম্ভব নয়। অনেক ভেবে জোড়া কার্তিক ঘরে তুলে পুজো হচ্ছে ১/১ বি সুবলচন্দ্র লেনের ঘোষ বাড়িতে। সোমবার দিনভর কার্তিক পুজা উপলক্ষ্যে ব্যস্ত থাকলেন তমোঘ্ন। উপভোগ করলেন বন্ধুদের কার্তিক-অভিযান। 

    ঘরে সন্তান আসুক, বলা ভালো কার্তিকের মতো ফুটফুটে সুন্দর ছেলে কোল আলো করে আসুক বন্ধুর জীবনে— এই আশা নিয়ে অনেকেই নতুন দম্পতির বাড়িতে কার্তিক ‘ফেলে’ আসে। এই রীতি নিয়ে কুসংস্কারের অভিযোগ বা বিতর্ক থাকলেও পাড়ায় পাড়ায় মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত ঘরে এমন ‘খুনসুটি’ কার্তিক পুজো উপলক্ষ্যে বেশ উপভোগ্য। তমোঘ্নও কয়েক মাস আগেই বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে, এই দলীয় কাজকর্মের চাপের মাঝে বন্ধুবান্ধব কার্তিক ঠাকুর ফেলবে তেমনটা হয়তো ঘুণাক্ষরেও আশা করেননি তমোঘ্ন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতেই কার্তিক-দর্শন। সিঁড়িতে থরে থরে রাখা কার্তিক ঠাকুর। কিন্তু, এই এক ডজন (১২টি) কার্তিক নিয়ে কী হবে! ‘বন্ধুদের ফোন করে বললাম, এতগুলি পুজো করা যাবে না। জোড়া কার্তিক রাখছি। বাকি তোরা নিয়ে যা।’, বললেন তমোঘ্ন। সোমবার জোড়া কার্তিক রেখেই পুজো হয়েছে ঘোষ বাড়িতে। হয়েছে সবরকমের আয়োজন। তমোঘ্নর কথায়, ‘এটাই তো বাংলা এবং বাঙালির সংস্কৃতি। সকলের আবদার। বন্ধুবান্ধব মিলে দিয়ে গিয়েছে। দুটো কার্তিকের পুজা করছি। এই কালচার তো হারিয়ে যাচ্ছে। ছোটোবেলায় আমরাও এসব করেছি। এখনকার জেনারশন তো এসব হয়তো জানেই না। গোটা বিষয়টা উপভোগ করছি।’ তাহলে কি মনে মনে ‘জোড়া কার্তিক’ চাইছেন তমোঘ্ন? সেই প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মেলেনি। হেসেছেন পদ্ম-নেতা।
  • Link to this news (বর্তমান)