সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: সোমবার সকালে ফের আর একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ট্রলারে ২৬ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মায়ের দয়া’ নামে ট্রলারটি আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে মাছ ধরছিল। তখন আটক করা হয়। ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে আমিনা গনি নামে একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী আটক করেছিল। তাতে ২৯ মৎস্যজীবী ছিলেন। এই দু’টি ট্রলারে থাকা ৫৪ মৎস্যজীবীকে সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। তাকে জুভেনাইল কোর্টে তোলা হয়েছে। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর চারটি বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী আটক করেছে। চারটি মিলিয়ে ৮৬ মৎস্যজীবী বর্তমানে ভারতে আটক আছেন। শীতকালে বহু বাংলাদেশি ট্রলার ভারতে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। কারণ এসময় এখানকার সমুদ্রে এক ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। এই মাছের শুকো (শুঁটকি) বাংলাদেশে জনপ্রিয়। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘শীতকালে ভারতীয় সমুদ্রে প্রচুর লাল ও সাদা রঙের পাতা মাছ পাওয়া যায়। এগুলি শুকনো করা হয়। বাজারে এই শুঁটকি মাছের প্রবল চাহিদা আছে। কম জলে খুঁটি পুঁতে বিন্দি জাল পেতে এই মাছ ধরার জন্য বাংলাদেশি ট্রলারগুলি আন্তর্জাতিক সীমা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে।’ এদিকে, আরও একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। ট্রলারের নাম নুড়ি মদিনা। এই ট্রলারে ২৪ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। তাঁদের মঙ্গলবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।