• প্লাস্টিক বন্ধে অভিযান স্বচ্ছ শহরের তকমা পাওয়া হুগলির বৈদ্যবাটি
    এই সময় | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, বৈদ্যবাটি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিচারে দু’–দু’বার গোটা রাজ্যের মধ্যে স্বচ্ছ শহরের তকমা পেয়েছে হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভা। তার সত্ত্বেও পুরপ্রশাসনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই শেওড়াফুলি হাটে দেদার নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে সোমবার পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শেওড়াফুলি হাটে অভিযান চালান বৈদ্যবাটি পুরসভার আধিকারিকরা।

    পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনের অভিযানে প্রায় ২০০ কেজির মতো নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুরসভার নিষেধ সত্ত্বেও দোকানে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বিক্রি করায় দু’জন পাইকারি ব্যবসায়ীকে ৫০০ টাকা করে আর্থিক জরিমানা হয়েছে। এছাড়া মোট ১৬ জন খুচরো বিক্রেতার কাছ থেকে মাথাপিছু ৫০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বৈদ্যবাটি পুরসভা প্রতিষ্ঠার দেড়শ বছর উপলক্ষে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিক মুক্ত শহর গড়ার আহ্বান জানান। তখন থেকেই শেওড়াফুলি হাট ও পাইকারি বাজারে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তাতে সাময়িক ভাবে কিছুটা কাজ হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার শুরু হয়। ড্রেনে প্লাস্টিক জমে থাকায় বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছিল শহরের নিকাশি ব্যবস্থা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে আবার নতুন করে অভিযানে নেমেছে বৈদ্যবাটি পুরসভা।

    পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ‘আমরা মানুষের সচেতনতার উপরে জোর দিয়েছি। নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার আটকানোর জন্য পুরসভার অফিসাররা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান। এ দিনের অভিযানে আমি নিজে ছিলাম। তাতে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েক জনকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।’

    বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাত বলেন, ‘নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বন্ধে আমরা দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছি।প্লাস্টিকের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে। মাইকিং করে প্লাস্টিক বন্ধের আবেদন জানানোর পাশাপাশি হাটে–বাজারে ও দোকানে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।’

  • Link to this news (এই সময়)