• দিল্লি বিস্ফোরণের পরে স্ক্যানারে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়, সাতসকালে ED হানা, তল্লাশি ২৫ জায়গায়
    এই সময় | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিল্লির ওখলা অফিসে হানা দিয়েছে। শুধু  আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ২৫টি জায়গায় হাজির হয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় আল ফালাহ-র চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে তলব করেছে দিল্লি পুলিশ। 

    দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১৩ জনের। সেই ঘটনার তদন্তভার বর্তমানে NIA-র হাতে। ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই কোনও না কোনও ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত। এর পরেই তদন্তকারীদের নজরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডিং বা অর্থের জোগান। ঘটনার তদন্ত ভার যায় ইডি-র কাছে। সেই ফান্ডিং সংক্রান্ত তদন্তের জন্য এই হানা, প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই। 

    দিল্লির বিস্ফোরণে ধৃত মুজ়াম্মিল আহমেদ এবং শাহিন শহিদ আল ফালাহতে কর্মরত ছিলেন। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণে মৃত ‘সুইসাইড বম্বার’ উমর-উন-নবিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল’-ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নোটিস ইস্যু করে। সেই নোটিস অনুযায়ী, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি কলেজের (ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং টিচার এডুকেশন) অ্যাক্রিডিটেশন শংসাপত্র পুরোনো এবং বাতিল।

    ১৯৯৭ সালে ফরিদাবাদে প্রথমে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আল ফালাহ। ২০১৪ সালে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছিল। এর পরে সেখানে একাধিক বিষয় পড়ানো হয়। ২০১৯ সালে সেখানে মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক ডিগ্রি কোর্স শুরু হয়। এর পরে এমডি-ও করার সুযোগও তৈরি করা হয় সেখানে। আল ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন।

  • Link to this news (এই সময়)