• বৈধ ভোটারকে দিতেই হবে ‘SIR’-এর ফর্ম, দাবি শুভেন্দুর, কটাক্ষ তৃণমূলের
    এই সময় | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: রাজ্যের কোনও বৈধ ভোটারকে এনিউমারেশন ফর্ম থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট হেল্পলাইন চালু করার উচিত বলেও মনে করছেন ‍বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় বৈধ ভোটারদের এনিউমারেশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। কয়েকজন বিডিও কিংবা বিএলও–র দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্যই ফর্ম অনেকে পাচ্ছেন না বলে নন্দীগ্রামের বিধায়কের পর্যবেক্ষণ। চলতি স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (সার) নিয়ে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে কোন কোন বিধানসভায় কোন কোন বুথে কত মৃত ভোটার রয়েছে, কত ডাবল এন্ট্রি রয়েছে— সেই তথ্য তুলে ধরেন শুভেন্দু। পাওয়ার প্রয়েন্ট প্রেজে়ন্টেশন করে শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যের একটি বিধানসভার একটি বুথে ৯৯ জন মৃত ভোটার রয়েছে।

    ‘সার’ প্রক্রিয়া শেষ হলে মৃত ভোটার, ডাবল এন্ট্রি, ভুয়ো এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মিলিয়ে অন্তত এক কোটি নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে বলে এ দিন ফের শুভেন্দু দাবি করেছেন। অতীতেও শান্তনু ঠাকুর, শুভেন্দু–সহ বিজেপি নেতারা এই দাবি করেছেন। কিন্তু এ দিন শুভেন্দু প্রথম অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় বৈধ ভোটাররা এনিউমারেশন ফর্ম পাচ্ছেন না। শুভেন্দুর কথায়, ‘নির্বাচন কমিশনকে বলব, বিএলও–রা যেখানে এনিউমারেশন ফর্ম দেননি, তার জন্য ডেডিকেটেড হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করুন। কোনও বৈধ ভোটারকে এনিউমারেশন ফর্ম থেকে বঞ্চিত না করা হয়।’

    শুভেন্দু অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের এক বিডিও এক বিএলও–কে বলেছেন, মৃত, শিফটেড ব্যক্তিদের যেন এনিউমারেশন ফর্ম দেওয়া না হয়। কিন্তু কর্মসূত্রে অনেক মানুষ অন্যত্র শিফটেড হয়ে গিয়েছেন। কোনও জায়গায় পুরো পরিবার যদি অন্যত্র চলে যান, তা হলে বিএলও–র কী করা উচিত তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, বিএলও–দের কমিশন যে অ্যাপ দিয়েছে, সেখানে শিফটেড অথবা মৃত ভোটার সম্পর্কে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার বন্দোবস্ত রয়েছে। রাজ্যে ‘সার’ ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। বিজেপির ‘সার’ নিয়ে প্রচারের মূল ফোকাস ছিল এই প্রক্রিয়ায় এক কোটির বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গা বাদ যাবে। সেই জায়গায় শুভেন্দুর এ দিনের সওয়াল তাৎপর্যপূর্ণ।

    এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি যেখানে ভোটে জিতেছে, সেই মতুয়া বা রাজবংশী প্রভাবিত, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বিপুল মানুষের নাম নেই ২০০২–এর তালিকায়। এই মানুষের ক্ষোভের আঁচ পাচ্ছে বিজেপি। সার বুমেরাং হতে চলেছে বুঝেই শুভেন্দু এখন এক্সক্লুসনের বদলে ইনক্লুসিভনেসের কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন।’

    শুভেন্দু এ দিন কয়েকটি ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করেছেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা পালিয়ে যাচ্ছেন। এই সংখ্যা কয়েক লক্ষ বলেও তাঁর পর্যবেক্ষণ। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ যদি বাংলাদেশে যান, তা হলে বিএসএফ কী করছে? শুভেন্দুর যুক্তি, ‘মোট ৫৪০ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া নেই, তাই পালাতে পারছে।’

  • Link to this news (এই সময়)