এই সময়: চেষ্টাটা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ থেকে শুরু করে চিকিৎসক এবং হাসপাতালকে টার্গেট বেঁধে দেওয়া — বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য। শেষ পর্যন্ত সাফল্য এল। আর সেই খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।
গ্রামীণ এলাকায় টেলি-মেডিসিন পরিষেবা পাওয়া রোগীর সংখ্যা সাত কোটি ছুঁয়েছে — সাফল্যের এই মাইলফলকের কথা সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এই সাফল্যের নেপথ্যে চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে এই পরিষেবা আরও ছড়িয়ে পড়বে এবং আরও বেশি উপভোক্তা এর সুবিধা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মমতা।
২০২০–তে, কোভিড অতিমারীর আবহে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে মুখ্যমন্ত্রী টেলি–মেডিসিন পরিষেবা চালুর জন্য জোর দেন। রোগীরা ভিডিয়ো কলে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্দিষ্ট রোগের সঠিক ওষুধ পেতে পারেন এই পদ্ধতিতে। দূরান্তের হাসপাতালে না গিয়ে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো অনলাইন প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে দোকান থেকে সহজেই ওষুধ কিনে নিতে পারেন।
রাজ্যের ১১ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এখন এই পরিষেবা পাওয়া যায়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ন’হাজারের বেশি চিকিৎসক, ৮০ হাজার পরামর্শদাতা। চালু হওয়ার পর থেকে এই পরিষেবাকে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন সময়ে নানা নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। টেলি–মেডিসিন পরিষেবার ‘হাব’ হিসেবে কর্মরত ১৯টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে গত অগস্টে স্বাস্থ্যভবন নির্দেশ দিয়েছিল, প্রতিটি হাসপাতাল থেকে অন্তত ন’জন চিকিৎসককে নিয়মিত ভাবে টেলি-মেডিসিন পরিষেবায় লগ-ইন করতে হবে এবং প্রত্যেক চিকিৎসককে মাসে ন্যূনতম ১০০টি টেলি-পরামর্শ দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, টেলি–মেডিসিন পরিষেবায় শৃঙ্খলা ও কার্যকারিতার পাশাপাশি পরিষেবার বহর ও মান বাড়াতেই চিকিৎসকদের জন্য এ ভাবে বাধ্যতামূলক মাসিক টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।