• ২৬-এর বেশি নাশকতার মাস্টারমাইন্ড, অবশেষে খতম শীর্ষ মাও-নেতা মাদভি হিদমা!
    প্রতিদিন | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদী মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের বড় সাফল্য। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল কুখ্যাত মাওবাদী নেতা মাদভি হিদমার। অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়-সহ একাধিক রাজ্যে নিরাপত্তাবাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর অন্তত ২৬টির বেশি নাশকতার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই মাও-নেতা। যার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। অবশেষে তাঁর মৃত্যু নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য যে বড় স্বস্তির তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের ডিজি হরিশ কুমার গুপ্তা জানান, গোপন সূত্রে মাওবাদী ডেরার হদিশ পেয়ে সোমবার সকালে অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যের সীমানায় জঙ্গল এলাকায় এই অভিযান চলে। এই এলাকাটি অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সিতারামারাজু জেলায় অবস্থিত। গোলাগুলিতে একজন শীর্ষ মাওবাদী নেতা-সহ এখনও পর্যন্ত ৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, মৃত মাওবাদীদের মধ্যে এই শীর্ষ নেতাই হলেন একাধিক নাশকতার মাস্টারমাইন্ড মাদভি হিদমা।

    জানা যাচ্ছে, ১৯৮১ সালে তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের সুকমায় জন্ম হিদমার। শুরুতে পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির একটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে সিপিআই মাওবাদীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। বস্তার অঞ্চলে এই কমিটির একমাত্র উপজাতি সদস্য ছিলেন হিদমা। নিরাপত্তাবাহিনীর উপর একাধিক নাশকতার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় হামলা, যেখানে ৭৬ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন, ২০১৩ সালে ঝিরাম ঘাটিতে হামলা, যেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা-সহ ২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে সুকমা-বিজাপুরে হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২২ জওয়ানের। সেই নাশকতাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই মাও নেতা। এর আগে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে হিদমার স্ত্রীর। তিনিও ছিলেন মাওবাদী কমান্ডার।

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদকে পুরোপুরি নির্মূল করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। গত কয়েক মাসে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে আত্মসমর্পণ করেন কয়েকশো মাওবাদী। স্পষ্ট ভাষায় শাহ জানিয়েছেন, “যারা হিংসাত্যাগ করে মূল স্রোতে ফিরছেন তাঁদের স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা এখনও বন্দুক চালিয়ে যাবে তাঁদের নিরাপত্তা বাহিনীর মারণ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)