বিহারের ভোট হয়ে গিয়েছে। এবার পালা বাংলার। আগামী বছর বাংলা সহ পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে বাংলায় শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন। বাংলা ছাড়াও ৯ রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে এসআইআর। ভোটের আগে রাজ্যে সম্প্রীতি এবং সংহতি বজায় রাখতে বাড়তি সতর্ক শাসকদল তৃণমূল।
আগামী ৬ ডিসেম্বর সংহতি দিবস। সংহতি দিবসকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণে ওই দিন বৃহত্তর সমাবেশের আয়োজন করেছে শাসকদল। সূত্রের খবর, ওইদিন ধর্মতলা মেয়ো রোডের সংহতি সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমাবেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাসক শিবরের যুব, ছাত্র ও সংখ্যালঘু সংগঠনকে।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দলের মুখপাত্র তথা অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর সংহতি দিবস পালিত হয়, এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিতে জাতীয় ঐক্য, সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবারও সেটাই হবে। আমাদের ছাত্র, যুব সংগঠন, সংখ্যালঘু সংগঠন মিলে তার আয়োজন করছে। সকলে আমরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেব।‘
রাজ্যে এসআইআর চলছে। ভুয়ো ভোটার, আধার কার্ডের বিনিময়ে নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের নাম বাদ যাবে। সেই সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীরাও বাদ পড়বে বলে দাবি করছে বিজেপি। রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাদ নিয়ে সরব গেরুয়া শিবির। এই আবহে রাজ্যে যাতে কোনও রকমের উসকানি, সাম্প্রদায়িক অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়, তার জন্য শক্ত হাতে নামতে চাইছে শাসক শিবির। ৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে সংহতি আরও জোরদার করার লক্ষ্য তৃণমূলের। সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন এখন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।