• ‘ঘরের সমস্যা ঘরেই মিটবে’, পরিবারে ভাঙনের মাঝে ‘তেজ’ হারিয়ে লালু যেন পিতামহ ভীষ্ম!
    প্রতিদিন | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের দলের ভরাডুবি হয়েছে। তারপরে ভাঙন ধরেছে পরিবারেও। তাঁর সন্তানরা একে অপরের দিকে কার্যত কাদা ছুড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে কার্যত পিতামহ ভীষ্মের মতো অবস্থা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। প্রকাশ্যেই মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন, ভেঙে টুকরো হচ্ছে তাঁর পরিবার। তবে লালুর বার্তা, সব সমস্যার সমাধান হবেই।

    বিহার নির্বাচনে হারের পর বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন লালুকন্যা রোহিণী আচার্য। সমাজমাধ্যমে রোহিণী জানিয়েছেন, তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে মারতে তাঁর দিকে জুতোও তোলা হয়েছিল। যদিও রোহিণী আলাদা করে কারও নাম নেননি। এই বার্তা দেওয়ার পরদিনই লালুর আরও তিন মেয়ে রাজলক্ষ্মী, রাগিনী ও চান্দা পাটনার বাড়ি ছেড়েছেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। তাঁরা দিল্লি চলে গিয়েছেন।

    বিশ্লেষকদের মতে, লালুর চার মেয়ের অভিযোগ মূলত তেজস্বীর দুই ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ নেমাত খানের বিরুদ্ধে। বিহার নির্বাচনে আরজেডির টিকিট বণ্টন নিয়েও সম্ভবত রোহিণী এবং অন্য বোনদের দাবি অগ্রাহ্য করেছেন তেজস্বী, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলে। সোমবার নবনির্বাচিত আরজেডি বিধায়করা মিলে তেজস্বীকে বিধানসভায় দলের নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। সেই বৈঠকেই নাকি তেজস্বী নাম না করে রোহিণীকে বিঁধেছেন টিকিট বন্টন প্রসঙ্গে। লালুপুত্রের কথায়, বোনের অনুরোধ ছিল বিশেষ একজনকে যেন টিকিট দেওয়া না হয়। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেননি তেজস্বী। তাঁর যুক্তি, পরিবারের চেয়েও দলকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। 

    নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে বিধায়কদের এই বৈঠকে স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে নিয়ে যোগ দেন লালু স্বয়ং। পরিবারে ভাঙনের কথা মেনে নেন আরজেডি সুপ্রিমো। তবে ওই বৈঠকেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যাবতীয় সমস্যা ঘটেছে পরিবারের মধ্যে। তার সমাধান হবে পরিবারের মধ্যেই। লালুর ঘোষণা, “আমি আছি তো, এই সমস্যা দূর করব।” উল্লেখ্য়, মোট ৯ সন্তান রয়েছে লালুর। রীতিমতো দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)