• বাজি হারলেও ‘সন্ন্যাসে’ নারাজ! ‘টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন নীতীশ’, নয়া অভিযোগ পিকের
    প্রতিদিন | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বিহার ভোটে জেডিইউ ২৫ পার করলে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন। তবে প্রশান্ত কিশোরের সে ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যে প্রমাণ করে বিহারে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এনডিএ। জেডিইউ পেয়েছে ৮৫ আসন। অন্যদিকে পিকের দল জন সুরজ পার্টি পেয়েছে বিরাট শূন্য। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ‘ভোট কুশলী’ প্রশান্ত কিশোর। নিজের সন্ন্যাস নেওয়ার দাবি থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আঙুল তুললেন জেডিইউ-র দিকে। পিকের অভিযোগ, ‘বিহারে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন নীতীশ কুমার।’

    দলের লজ্জার হারের পর এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক সন্নাসের বিষয়টি উত্থাপন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে পিকে বলেন, তিনি জন সুরজের কোনও রাজনৈতিক পদে নেই। ফলে আলাদা করে পদত্যাগেরও প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটে হারলেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারেই ঘুরে বেড়াবেন। এছাড়াও মুখে যথাসম্ভব হাসি এনে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম জেডিইউ ২৫টির কম আসন পাবে এবং জন সুরজ হয় শীর্ষে অথবা সবচেয়ে নিচে পৌঁছবে। আমার দ্বিতীয় মন্তব্যটি সত্য প্রমাণ হয়েছে।” এরপরই নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে বলেন, “টাকা দিয়ে বিহারে ভোট কিনেছেন নীতীশ কুমার।” তাঁর অভিযোগের তির, নির্বাচনের আগে সরকারের ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’য় মহিলাদের ১০ হাজার টাকা করে বিতরণের মাধ্যমেই কেনা হয়েছে ভোট।

    তবে ভাঙলেও মচকাতে নারাজ দাপুটে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। ফের নীতীশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, “সরকার যদি এই প্রকল্পের বিধান অনুযায়ী ৬ মাস পর প্রতিশ্রুতিমতো মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ২ লক্ষ টাকা করে দেয় তাহলে আমি রাজনীতি ও বিহার দুইই ছেড়ে দেব। আসলে ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নামে বিহারে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছিল।” নীতীশকে নয়া চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পাশাপাশি জন সুরজের হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে সততার সঙ্গে লড়াই করেছিলাম, কিন্তু পুরোপুরি অসফল হয়েছি। হাত যেহেতু হয়েছে ফলে তা স্বীকার করতে কোনও আপত্তি নেই। এই হারের দায় আমি আমার কাঁধেই নিচ্ছি। আমরা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারিনি।”

    উল্লেখ্য, এবারের বিহার নির্বাচনে ২৩৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল জন সুরজ পার্টি। তবে ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় ২৩৬টি আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদের। শতাংশের হিসেবে একটি দুটি আসন জেতা দলগুলির তুলনায় জন সুরজ বেশি ভোট পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বলছে, এই ভোটে ৩.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে জন সুরজ। সেখানে বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিম-এর মতো দলগুলি ৩ শতাংশের কম ভোট পেয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)