সোম রাতেও সুন্দরবনে পাকড়াও ২৪ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী, তিনদিনে জালে মোট ৭৯
প্রতিদিন | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ফের ভারতীয় জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে গ্রেপ্তার ২৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। এই নিয়ে তিনদিনে মোট ৭৯ বাংলাদেশি ধরা পড়লেন ভারতে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জলসীমান্ত এলাকায়। ভুল করে তাঁরা জলসীমা পেরিয়েছেন? নাকি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁরা ভারতে ঢুকলেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকে ভারতের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বেড়েছে। এদিকে গতকাল বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই রায়ের পর থেকে অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সেই আবহে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে টহলদারির সময় ভারতীয় জলপথে একটি ট্রলারকে দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাহিনীর। দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। দেখা যায় এফবি নূর-ই-মদীনা-২৪ নামে বাংলাদেশের একটি ট্রলার জলসীমানা অতিক্রম করে ভারতে চলে এসেছে। ট্রলারে ২৪ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। ট্রলার-সহ প্রত্যেককেই আটক করে কোস্ট গার্ড। পরে তাঁদের ফ্রেজারগঞ্জ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ধৃতদের বাড়ি কক্সবাজার এলাকায়।
শনি ও রবিবারও একইভাবে দুটি বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ট্রলার ভারতে অবৈধভাবে ঢুকেছিল। দুই ট্রলার থেকে মোট ৫৫জন বাংলাদেশিকে পাকড়াও করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই ট্রলারগুলির কাছে ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চলের মধ্যে মাছ ধরার জন্য কোনও বৈধ অনুমোদন ছিল না। ওই ট্রলারগুলি ভারতীয় জলসীমার প্রায় চার কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছিল বলে খবর। এসআইআর এবং বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মৎস্যজীবীরা লাগাতার ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও সুন্দরবন পুলিশ জেলা। ফলে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমায় নজরদারি কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণের পর দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক সীমানায় বিশেষ নজরদারি অভিযান চলছে। তার অংশ হিসেবে কোস্টগার্ডের এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।