• চার বছর আগে ‘বিবাহবিচ্ছেদ’, SIR-এর জন্যে ভোটার কার্ডের খোঁজে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে, শেষে মর্মান্তিক পরিণতি
    এই সময় | ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • প্রায় চার বছর আগে স্বামী-মেয়েকে ছেড়ে অন্য যুবকের সঙ্গে পালিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতেই পড়েছিল ভোটার কার্ড। এখন SIR হচ্ছে। খোঁজ পড়েছে সেই ভোটার কার্ডের। সেটা নিতেই ফিরে এসেছিলেন। তখনই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ এমনই।

    পরিবারের আরও অভিযোগ, ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের পরে ক্ষোভে, লজ্জায় আত্মহত্যা করেন স্বামী অজয় মণ্ডল (৩২)। সোমবার কালনা থানার মছলন্দপুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি মৃতের পরিবার। জানা যায়নি তরুণীর নাম-পরিচয়ও।

    SIR-এর ফর্ম বিলি প্রায় শেষ। এখন ফিলআপের পরে জমা দেওয়ার কাজ চলছে। তরুণী ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে দেখেন, ভোটার কার্ড নেই। মনে পড়ে, সেটা ‘প্রাক্তন’ স্বামীর বাড়িতে রয়ে গিয়েছে। এর পরেই অজয়ের বাড়িতে যান তিনি।

    মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, অজয়কে ছেড়ে চার বছর আগে পালিয়ে যান তরুণী। অভিযোগ, একরত্তি মেয়ে আর স্বামীকে ফেলে অন্য যুবকের সঙ্গে চলে যান ওই তরুণী। গ্রামের মুরুব্বিরা বসে ঠিক করেন, তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এখন যে যার মতো সংসার পাততে পারেন। সেই ভাবেই চলছিল। মেয়েকে একাই বড় করছিলেন অজয়।

    এ দিন তরুণী বাড়িতে আসতেই মা’কে দেখে চমকে ওঠে মেয়ে। ‘তুমি এখানে?’ ছুটে আসেন প্রাক্তন স্বামী অজয়ও, ‘এতদিন কোথায় ছিলে’? শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভোটার কার্ড নিয়ে চলে যান তরুণী।

    কিন্তু তার পরেই মুষড়ে পড়েন অজয়। অভিযোগ, এর পরেই সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃতের ভাই বিজয় মান্ডির অভিযোগ, ‘বৌদি চলে যাওয়ার পরেই দাদা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু এ রকম কাণ্ড করে বসবে, ভাবতেও পারছি না।’

    মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় কালনা হাসপাতালে। বিজয়ের দাবি, ‘বৌদি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে দাদা একাই মেয়েকে মানুষ করেছিলেন। সব কিছু স্বাভাবিকই চলছিল। কিন্তু বৌদির সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি দাদা।’ অজয়ের পরিবারের একটাই আফসোস, কেন যে আসতে গেল?

  • Link to this news (এই সময়)