• রাজ্যে ‘কৃষক দুরাবস্থা’ নিয়ে আন্দোলনের পথে বিজেপি
    আজকাল | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অল্প অল্প করে বাজতে শুরু করেছে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাক। সামনের বছরেই এরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলন জোরদার করতে চলেছে বিজেপি। আগামী ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থা ও কৃষকদের দুরাবস্থার অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্য  জুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার সাংসদ ও বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য এই কথা জানিয়েছেন। 

    বিধাননগরে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে এদিন শমীক অভিযোগ করেন, “বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পের ২১তম সহায়তা প্রদান করবেন। অথচ এই রাজ্য ২১টির মধ্যে প্রথম ১০টি-তে গ্রহণ করেনি। যার জন্য বঞ্চিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ কৃষকরা। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা ও অকর্মণ্যতার জন্য এই রাজ্যের কৃষকরা দিন দিন দুরাবস্থার মধ্যে পড়ছেন। নাবার্ড-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঞ্জাবের একটি কৃষক পরিবার যা রোজগার করে তার এক তৃতীয়াংশ রোজগার করে এই রাজ্যের একটি কৃষক পরিবার।” 

    শমীকের অভিযোগ, এই রাজ্যে বাদামি পোকা থেকে ধান রক্ষা করতে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে তার মাত্রা ঠিক থাকছে না। যার জন্য ওই কীটনাশক মিশে যাচ্ছে ধানের সঙ্গে। ঢুকছে মানুষের শরীরে। অথচ রাজ্য সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। এরাজ্যে সেচ সেবিত জমি মাত্র ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। কিষাণ মান্ডিগুলি হয়েছে দুর্নীতির এক একটি আখড়া। অন্য রাজ্যে আলু রপ্তানিতে বাধা দেওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। আর যদি চাষের কথাই ধরা হয় তাহলে বলতে হয় আলু, ধান, পাট-সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের অবস্থা খারাপ। রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, “এরাজ্য থেকেই মাছের চারা নিয়ে গিয়ে সেই চারা বড় করে অন্ধ্রপ্রদেশ আবার বিক্রি করছে এই রাজ্যকেই।” 

    আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসআইআর এবং ৫ ডিসেম্বর থেকেই গোটা কৃষি ব্যবস্থা ও কৃষকদের উন্নতির দাবিতে বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলে শমীক জানিয়েছেন। 

    পাল্টা জবাবে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কৃষকদের দুরাবস্থা নিয়ে বিজেপি কীভাবে বড় বড় কথা বলে! দেশে প্রতিদিন কৃষকদের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ পাচ্ছে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে। কৃষক বিরোধী আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে সিঙ্ঘু সীমান্তে মাসের পর মাস কৃষকরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গিয়েছেন। কৃষকদের আটকানোর জন্য দিল্লির রাস্তায় পোঁতা হয়েছিল গজাল! দেশের কৃষকদের যে বিজেপি কত ভালবাসে সেটা দিনের পর দিন সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকরা প্রমাণ দিয়ে গিয়েছেন।”
  • Link to this news (আজকাল)