• শিক্ষামন্ত্রীর বড় বার্তা
    আজকাল | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:  TET উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীদের জন্য বড় বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর। ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, 'আগামীকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, তাঁদের অনলাইন পোর্টাল উন্মুক্ত করতে চলেছে। যেখানে TET উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীরা, সরকার অনুমোদিত ও সরকার পৃষ্ঠপোষকতা-প্রাপ্ত প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়গুলিতে, সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন জানাতে সক্ষম হবেন। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রজ্ঞা, পথনির্দেশ ও সদর্থক অবিভাবকত্বে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রাথমিক শিক্ষার ভিতকে, আরও সুদৃঢ় করতে চলেছে-একথা বলাইবাহুল্য।'




    প্রসঙ্গত, ১ মাসের মাথায় প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৩ সালের টেটের ফল। ‌শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৫৪ জন। প্রথম ১০-এর মধ্যে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা দিয়ে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন। পাশের হার ২.৪ শতাংশ।

    সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তালিকায় প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিংহ। প্রাপ্ত নম্বর ১২৫। দ্বিতীয় হয়েছেন মুর্শিদাবাদের কাজল কুটি। তার মোট নম্বর ১১৬। তৃতীয় হয়েছেন দু'জন বাঁকুড়ার সৌমিক মণ্ডল এবং উত্তর ২৪ পরগনার স্বর্ণেন্দু ভড়। দু'জনের প্রাপ্ত নম্বর ১১৫।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল স্বচ্ছতার জন্য সেদিন দুপুর দুটোর পর থেকে পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের ওয়েমারের অরিজিনাল কপি আপলোড করা হবে। সেখান থেকে তাঁরা দেখতে পাবেন।

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী পাশ করলেও পরবর্তীকালে ডিএলএড-এর বৈধতা না থাকায় আইনি জটিলতার কারণে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা কমে হয় প্রায় ৪০ হাজার। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াই এখনও পর্যন্ত শুরু করে উঠতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরের পুজো মিটলেই ২০২২ এবং ২০২৩-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

     ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ১৩ হাজার ৪২১ মত শূন্য পদ রয়েছে, যা অর্থ দপ্তরের অনুমতি অপেক্ষায়।এই ঘটনার সরাসরি প্রভাব পড়ে ২০২৩-এর পরীক্ষাতেও। এর উত্তরে পর্ষদের যুক্তি ছিল, ডিএলএড উত্তীর্ণেরাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন, তাই এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।

    এর পর ২০২৪-এর ৭ মে পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কোন‌ প্রশ্নের সঠিক উত্তর কোনটি, তা জানানো হয়। যদি কোনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে কোন‌ও পরীক্ষার্থীর দ্বিমত থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ জানানোর সময়সীমা ছিল ১০ মে থেকে ৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। তার পর ‘ফাইনাল আনসার কি’ ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়।
  • Link to this news (আজকাল)