আমাদের চেষ্টা সৎ ছিল, কিন্তু তাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছি, বললেন প্রশান্ত কিশোর
বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
পাটনা, ১৮ নভেম্বর: বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ছিল প্রশান্ত কিশোরের কাছে প্রথম পরীক্ষা। আর তাতে খাতাই খুলতে পারেনি তাঁর জন সুরাজ পার্টি। বিহার বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২৩৮টিতে ভোটে লড়ে একটাতেও জিততে পারেনি তাঁর দল। জন সুরাজের ঝুলিতে গিয়েছে মোট ৩.৪৪ শতাংশ ভোট। এমনকি ৬৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছেন জন সুরাজের প্রার্থীরা। অবশ্য সেই ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন পিকে। আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট জানান, ‘আমাদের চেষ্টা সৎ ছিল, কিন্তু তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ আমাদের সমর্থন দেননি ঠিকই তাই সেই দায়ভার সম্পূর্ণ আমার একার। সিস্টেমের বদল তো দূরের কথা, ক্ষমতারই কোনও পরিবর্তন আনতে পারলাম না আমরা। তবে বিহারের রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন করতে পেরেছি আমরা।’ পিকে এদিন এও বলেছেন, তিনি নাকি ভোটারদের বুঝিয়েই উঠতে পারেননি কেন নতুন ধারার রাজনীতির প্রয়োজন পাটলিপুত্রে বা কেন তাঁদের দলকে সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘ভোটারদের সঙ্গে আমাদের যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা উচিত ছিল সেই জায়গায় আমি ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতার প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে আগামী ২০ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান ভিটিহারওয়া আশ্রমে একদিনের নীরব উপবাসে করব। আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি।’ ভোটের ফলাফলের বিশ্লেষণে কিশোর ফের দাবি করেন মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দশ হাজার টাকা করে না দিলে জেডিইউ-এর আসন সংখ্যা পঁচিশের গণ্ডিও পার হতো না।