• ভুয়ো ভোটার আটকাতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবিও তুলতে হবে বিএলও-দের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • এ যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটা। একে এসআইআর প্রক্রিয়ার বহুবিধ চাপ, তার ওপর আবারও নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা। সব মিলিয়ে ঝামেলা আরও বাড়ল। এবার এনুমারেশন ফর্মে ছবি স্পষ্ট না হলে সেই দায়িত্বও নিতে হবে বিএলও-দের। প্রয়োজনে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের ছবি তুলে নিয়ে আসতে হবে। সেই ছবি তুলতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় ভুল হলে বিএলও-দের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খাড়া। ফলে দিনের পর দিন নতুন নির্দেশিকায় বিএলও-দের ক্রমাগত চাপ বাড়ছে।

    জানা গিয়েছে, এনুমারেশন ফর্মে ভোটাররা যে ছবি দিয়েছেন, তাতে অনেকের মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। সেই সমস্যার সমাধান করতে বিএলও-দের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে নতুন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কমিশন ভোটারদের ফটো স্ক্যান করার জন্য অ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে। এভাবে নকল বা ভুয়ো ভোটার যাচাই করতে নির্বাচন কমিশন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নির্ভর সফটওয়ারের আশ্রয় নিচ্ছে। তাতে কেউ ভুয়ো ছবি ব্যবহার করছে কি না, সেটা যাচাই করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৯ ডিসেম্বরের পর এই টেকনলোজি ব্যবহার করবে কমিশন।

    কমিশন রোজই নতুন নতুন নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে। তাতে আরও অনেক বেশি কাজের চাপ বাড়ছে বলে বিএলও-দের একাংশের অভিযোগ। বিএলও-রা বলেন, তাঁরা যখন প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন, তখন এই ধরনের কোনও প্রশিক্ষণ তাঁদের দেওয়া হয়নি। তাঁদের কেবল ফর্ম বিতরণ ও ফর্ম জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী নিয়মে মেনে চলতে হবে, সেটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    কিন্তু এখন শুরু হয়েছে নতুন ঝামেলা। এবার ফর্ম ডিজিটাইজেশনের দায়িত্বও বিএলও-দের নিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে এক একটা ফর্মের ক্ষেত্রে অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। এর ফলে স্বল্প সময়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা তাঁদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিএলও-রা। ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)