পার্থ চৌধুরী: খুব ভালো সম্মন্ধ। পাত্রীর প্রোফাইল বেশ ভালো। ফলে দেখাশোনা না করার কোনও কারণ নেই। ঘটকও পূর্ব পরিচিত। সবকিছু পছন্দমতো হওয়াতে পাত্রী দেখতে বেরিয়ে পড়লেন রাইস মিল মালিক প্রাণগোপাল মণ্ডল। তার পরেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল পাত্রীপক্ষ। বরের বাবা জানতে পারলেন তিনি অপহৃত হয়েছেন। চাই মুক্তিপণ। টানটান সিনেমার কাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মেমারির বড়পলাসনের রাইসমিল মালিক প্রাণগোপাল মণ্ডল ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন। সম্প্রতি তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি প্রাণগোপালকে ফোন করে বলেন তাঁর সন্ধানে একটি মেয়ে রয়েছে। পাত্রী দেখতে চলুন।
পাত্রীর বর্ণনা শুনে খুশি হয়ে যান প্রাণগোপালবাবু। ঘটকের কথা মতো পাত্রী দেখতে বেরিয়ে পড়েন প্রাণগোপাল। পাত্রী দেখার দিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়া এলাকায় তাদের গাডি পৌঁছতেই তাদের গাড়ি ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন। সবার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। গান পয়েন্টে প্রাণগোপালবাবুকে অপহরণকারীরা নিয়ে যায় ভাতারের বামশোর এলাকায়। সেখানেই তাঁকে আটকে রাখেন অপহরণকারীরা। তার কাছে থাকা সোনার গহন ও টাকা ছিনতাই করে তার একটি গোপন ছবিও তুলে নেওয়া হয়।
অপহরণকারীরা প্রাণগোপালের কাছে মোটা টাকার দাবি করে বসে। হুমকি দেওয়া হয়, টাকা না দিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। প্রাণগোপালবাবু ৫০,০০০ টাকা আপাতত দেবেন এই শর্তে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। কথা মতো ৫০ হাজার টাকা দিয়েও দেন প্রাণগোপালবাবু। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে অপহরণকারীরা। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। শেষপর্য়ন্ত ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রাণগোপাল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ভাতারের বামশোর এলাকায় জিয়ারুল সেখ নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।