মঙ্গলবার কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একাংশ দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনাটিকে সমর্থন করছে। শুধু তাই নয়, কীভাবে বোমা তৈরি করা হয়, তাঁর খুঁটিনাটি তথ্য এবং ভিডিও সম্প্রচার করছে। এই ধরনের কার্যকলাপ হিংসাকে উসকে দিতে পারে এবং জনসাধারণে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সংবাদমাধ্যমগুলিকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস (রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৯৫ অনুযায়ী চলতে হবে। কোন খবরগুলি সম্প্রচার করা যাবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে মন্ত্রক। জানিয়েছে, অশ্লীল, মিথ্যা, অর্ধসত্য কোনও খবর সম্প্রচার করা যাবে না। যে সমস্ত খবর জনসাধারণে হিংসা ছড়াতে পারে, দেশের বিরুদ্ধে যায়, সেগুলি সম্প্রচার করানো যাবে না। যে সমস্ত খবর দেশের ঐক্য নষ্ট করতে পারে, তা সম্প্রচার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের দুই ষড়যন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। পাশাপাশি, তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ও। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য।