• স্কুলে যাওয়ার সময় চার ছাত্রীকে অপহরণ করে পাচারের চেষ্টা! চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে
    প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: দিনেদুপুরে সকলের সামনে থেকে চার নাবালিকা ছাত্রীকে পাচারের চেষ্টা! যদিও রেলের টিকিট চেকারের তৎপরতায় রক্ষা পায় তারা। শিলিগুড়িতে আবারও নাবালিকা পাচারের চক্রান্ত! অভিযোগ, বাবুপাড়ার জোৎস্নাময়ী স্কুলের তিন ছাত্রী ও শিলিগুড়ি গার্লস’ স্কুলের এক ছাত্রী—মোট চার নাবালিকা ছাত্রীকে ভিনরাজ্যে পাচারের চেষ্টা করেছিল এক মহিলা। ঠিক সময়ে রেলকর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেল চারজনই। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরজুড়ে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। স্কুলের কাছাকাছি এক মহিলা তাদের টোটোতে তোলে। এরপর সরাসরি নিয়ে যায় শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে। সেখানে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়েই টিটি মাস্টারের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রীরা পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। টিটি তাদের আটকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে অভিভাবকদের হাতে নাবালিকাদের তুলে দেওয়া হয়। সুযোগ বুঝেই সেখান থেকে চম্পট দেয় সেই মহিলা। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দার্জিলিং জেলা লিগ্যাল এইড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার। তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ফোরামের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিভাবকরা স্কুলেও পুরো বিষয়টি জানান।

    নাবালিকাদের দাবি, কয়েকদিন ধরেই ওই মহিলা তাঁদের “জীবন বদলে দেওয়ার” প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিল। বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়েছিল বলেও অভিযোগ। এক নাবালিকার মা বলেন, “হঠাৎ ফোন আসে যে আমার মেয়েকে স্টেশনে আটক করা হয়েছে। ছুটে গিয়ে জানতে পারি এক মহিলা নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভিনরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছি।” এ বিষয়ে জোৎস্নাময়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বনানী রায় বলেন, “তিনজন পড়ুয়া স্কুলে প্রবেশই করেনি। স্কুল চত্বরে যথাযথ নিরাপত্তা ও সিসিটিভি নজরদারি রয়েছে। বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য স্কুল দায়ী নয়। তবুও প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে স্কুল শুরু ও ছুটির সময় দু’জন করে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে।” প্রসঙ্গত নাবালিকা পাচারের এই চক্রান্ত ঘিরে রীতিমতো উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ। শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)