• ছাব্বিশে ভোটের খরচ কয়েকগুণ বাড়াচ্ছে বিজেপি, নিয়ন্ত্রণ থাকছে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতেই
    প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক ও প্রচারের কাজে ৫০০ কোটিরও বেশি খরচের বাজেট রয়েছে বিজেপির। যদিও পদ্মশিবিরের অন্দরের খবর, হেভিওয়েটদের প্রচারের খরচ ধরলে এই সংখ‌্যা ছুঁতে পারে ১ হাজার কোটিও। আর বিপুল পরিমাণ এই অর্থ ব‌্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রাখতে নির্বাচনী খরচ কোথায়, কীভাবে করা হবে, কোন বিধানভায় কত দেওয়া হবে তা সবই নিয়ন্ত্রিত হবে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে। বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে আর্থিক ব‌্যয়ের উপর এবার নজরদারি থাকবে দিল্লির নেতাদের। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের হাতে আর্থিক খরচের মুল দায়িত্ব দেওয়া হবে না বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।

    একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলার জন‌্য বিজেপি খরচ করেছিল ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। সে তুলনায় এবার ২০২৬-এ খরচ বাড়ছে কয়েক গুণ। কেন্দ্রীয় অর্থেই এই তহবিল আসে, বলে জানিয়েছে বিজেপির একাধিক অভ্যন্তরীণ সূত্র। তবে এত টাকা খরচ করেও কি ভোট বাক্সে ইতিবাচক ফল মিলবে? দলের অন্দরেই উঠছে এমন প্রশ্ন। কারণ ২০২১-এ বিপুল অর্থ খরচ করেও বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। তাই এ বার এত বেশি অর্থ ব্যয় করেও সাফল‌্য কতটা আসবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই।

    এদিকে, আগামী ২২ নভেম্বরের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ‌্য কমিটি ঘোষণা হতে পারে। ২০ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে শমীক ভট্টাচার্যর এই নতুন টিমে অনেক পুরনো নেতাদের দেখা যাবে। বর্তমান রাজ‌্য কমিটি থেকেও বাদ পড়ছেন অনেকে। সায়ন্তন বসু,. রীতেশ তেওয়ারি, রাজকমল পাঠক, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়দের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে। আবার দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর রাজ‌্য কমিটির প্রাক্তন সদস‌্য সমীরন সাহা দলের কাজে যুক্ত হচ্ছেন। সমীরনের কথায়, ‘‘অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দুরে ছিলাম। এবার শমীকদার হাত ধরেই নতুন করে পার্টির কাজে যুক্ত হতে চাই।’’

    অন‌্যদিকে, নির্বাচনের সময়ে এই রাজ্যে থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রচার ও সংগঠনের খরচ কোথায়, কীভাবে করা হবে-সবকিছুই তাঁর অনুমোদনসাপেক্ষ বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব নির্বাচনী কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাংগঠনিক তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। যে সমস্ত আসনগুলিকে ‘জয়ের লক্ষ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ একটি আসনে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা ধরলে লক্ষ্যভিত্তিক কেন্দ্রে খরচ দাঁড়াচ্ছে কয়েকশো কোটি টাকায়। দলীয় সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা, তাঁর সফর, হেলিকপ্টার ব্যবহার, শীর্ষ নেতাদের পাঁচতারা হোটেলে থাকার খরচ আলাদা ভাবে দিল্লি বহন করে। ফলে রাজ্য সংগঠনের বাজেটের সঙ্গে এগুলো যোগ হচ্ছে না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)