• ইভিএমে আগে থেকেই ২৫ হাজার ভোট? আরজেডি নেতার দাবি ওড়াল কমিশন
    বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে আরজেডি নেতা জগতানন্দ সিংয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন! মঙ্গলবার এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন। বিহারে ১৪৩টি আসনে লড়াই করে মাত্র ২৫টিতে জিতেছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল। এরপরই তেজস্বী যাদবরা সরাসরি অভিযোগ তোলেন কমিশনের বিরুদ্ধে। জানানো হয়, এই ফলাফলে জনমতের প্রতিফলন নেই। ইভিএমে অস্বাভাবিকতা ছিল। আরজেডি নেতা জগতানন্দ বলেন, ‘প্রতিটি ইভিএমে ২৫ হাজার ভোট আগে থেকেই ছিল। তবু আমরা ২৫টি আসনে জিতেছি।’ এদিন তার জবাবে কমিশন জানিয়ে দিল, এই দাবি প্রযুক্তিগতভাবে অসম্ভব। ইভিএমে কোনও ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইন্টারনেট বা বাইরের কোনও সংযোগ নেই। ফলে দূর থেকে বা ডিজিটালভাবে কারচুপি করা অসম্ভব।

    কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভোট শুরুর আগে প্রতিটি ইভিএমে সব প্রার্থীর ভোট ‘শূন্য’ দেখানো হয়। এরপর সব রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের উপস্থিতিতে মক পোল করা বাধ্যতামূলক। সেই পর্ব সম্পূর্ণ হওয়ার পর পুরোপুরি মুছে ফেলা হয় সমস্ত ভোট। সকলে মিলে মক পোল সার্টিফিকেটে সই করেন। দু’টি ধাপের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায় ইভিএম। ফলে কোন ইভিএম কোন বুথে যাবে সেটাও আগে কেউ জানতে পারে না। ইভিএম সিল করা, রাখা, পাঠানো ও নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণের প্রতিটি ধাপই হয় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে। কোনও ধাপেই আরজেডির তরফে কোনও অভিযোগ নেই। এমনকি, সিল ভাঙার ঘটনাও ঘটেনি। প্রতিটি ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট থাকে, যেখানে ভোটার নিজে দেখে নিতে পারেন প্রদত্ত ভোট ঠিক মতো রেকর্ড হয়েছে কি না। ভিভিপ্যাট গণনাতেও কোথাও কোনও অসংগতি পাওয়া যায়নি। কমিশন বলেছে, আরজেডির নিজস্ব এজেন্টরা মক পোল সার্টিফিকেট, সিলিং নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। কোনও আপত্তি সেখানে তোলা হয়নি।  
  • Link to this news (বর্তমান)