• দিল্লি কাণ্ড: বিস্ফোরণের জন্য নতুন গাড়ি কিনেছিল শাহিনরা
    বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: দু-মাস আগেই নতুন গাড়ি কিনেছিল শাহিন-মুজাম্মিল। দিল্লি বিস্ফোরণের ৭ দিনের মধ্যেই সামনে এল সেই গাড়ি কেনার ছবি। তদন্তকারীদের অনুমান, এই নতুন গাড়িটিও সেই ৩২টি গাড়ির মধ্যে একটি, যেগুলো ব্যবহার করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের ছক কষেছিল উমররা।  

    গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লির লালকেল্লা চত্বর। ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ১৫জন। একটি আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, হামলায় ব্যবহার হয়েছিল টিএটিপি নামে নতুন ধরনের শক্তিশালী বিস্ফোরক। তবে এই একটি বিস্ফোরণই হামলাকারীদের লক্ষ ছিল না। পরিকল্পনা ছিল আরও অনেক বড়। তদন্তে নেমে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ পায় এনআইএ। তদন্তকারীদের দাবি, মোট ৩২টি গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের ছক কষেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। ইতিমধ্যে কয়েকটি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এগুলো বিস্ফোরক বহনের কাজে ব্যবহার করা হত। তবে উদ্ধার হওয়া গাড়িগুলির মধ্যে একটি ছাইরঙা মারুতি গাড়ি নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ ছবিতে দেখা গিয়েছে, এই একই মডেলের একই রঙের একটি গাড়ি কিনছেন শাহিন ও মুজাম্মিল। মাস দুই আগে গাড়িটি কেনার পুরো টাকা ক্যাশে মেটান দু’জনে। 

    সময় যত এগোচ্ছে তত স্পষ্ট হচ্ছে একাধিক বিস্ফোরণের তত্ত্ব।  প্রথমে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণের যোগ মেলে। যোগসূত্র হিসেবে উঠে আসে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। দিল্লি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত উমর থেকে শুরু করে শাহিন শাহিদ, মুজাম্মিল শাকিল সকলেই আল ফালাহের সঙ্গে যুক্ত। এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকেই উদ্ধার হয় একটি গাড়ি। যা নাশকতার জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল উমরদের, দাবি তদন্তকারীদের।
  • Link to this news (বর্তমান)