নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: কামারহাটি পুরসভার দক্ষিণেশ্বর এলাকায় প্রাচীন জলাশয়ের পাড় বাঁধানোর নামে একাংশ ভরাটের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘটনার কথা জানার পরই সরব হয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার তথা পুরসভার সিআইসি অরিন্দম ভৌমিক। তিনি পুরসভা ও স্থানীয় বিধায়কের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পাড় বাঁধানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই ঘটনায় শাসক দলের অন্দরেও তীব্র জলঘোলা শুরু হয়েছে।
পুরসভার তরফে দ্রুত জলাশয় পরিদর্শন করে আইনানুগ পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জলাশয়টি রয়েছে কামারহাটি পুরসভার ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী। সম্প্রতি, কিশোর সংঘ মাঠ লাগোয়া জলাশয়ের দিক পাড় থেকে বেশ কয়েক ফুট মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছে। আরও কয়েক গাড়ি মাটি রাখা রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এইভাবে একটু একটু এগিয়ে যাওয়া পুকুর ভরাটের পুরোনো কৌশল। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিন্দম ভৌমিক বলেন, বিষয়টি আমারও নজরে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তারপরও এই জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। আমি পুরসভা ও স্থানীয় বিধায়ককে চিঠি দিয়েছি। পাশের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, পুকুরের পাড়ে বেশ কয়েক জনের বাড়ি রয়েছে। পুকুর পাড় ধসে তাঁদের বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে। তাই তারা বাড়ি বাঁচানোর স্বার্থে পাড় ভরাট করেছেন। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, পুকুর তো দূরের কথা কোনও জলাভূমি ভরাট করা যায় না। এক্ষেত্রে কী হয়েছে, কার অনুমতি নিয়ে কাজ হচ্ছিল, সব খতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র