• শৌচাগার চাইতে গেলেই ওঠবস! পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর কাছে হেনস্থার শিকার এক ব্যক্তি
    এই সময় | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, কুলপি: শৌচাগার পাওয়ার আশায় পঞ্চায়েতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং তাঁর দলবলের হাতে চরম হেনস্থার শিকার হলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে মারধরের পাশাপাশি কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কুলপির ব্লকের দক্ষিণ গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আক্রান্ত ব্যক্তি সন্তোষ ন্যায়বান কুলপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অপমান এবং আতঙ্কে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছেন সন্তোষ।

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দুসুন্দর নস্কর বলেন, 'সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষ যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন একইসঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডাবিনীর হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।' কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, 'বিরোধীরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কুৎসা অপপ্রচার চালাচ্ছে।' অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি শৌচাগার পাওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছিলেন সন্তোষ ন্যায়বান। অনেক দিন পরেও শৌচাগার না মেলায়, কবে নাগাদ শৌচাগার পাবেন সেটা জানতে এ দিন পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা ও তাঁর দলবল তাঁকে হেনস্থা করে। মারধরের পাশাপাশি পঞ্চায়েতের মধ্যেই তাঁকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করানো হয়।

    সন্তোষ বলেন, 'শৌচাগারের জন্য কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন পেলাম না, সেটা জানতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। শৌচাগার দেওয়ার জন্য আমার থেকে টাকাও নিয়েছিল। আমাকে কিছু জানানোর আগেই আচমকা মারধর করতে থাকে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তার দলবলেরা। পঞ্চায়েতে আসা সমস্ত লোকজনের সামনে জোর করে ওঠবস করায়।'

    অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানের স্বামী আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, 'মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।'

  • Link to this news (এই সময়)