• ফর্ম আপলোড সারতে সহকারী পাবেন BLO, কলকাতায় ফর্ম ডিজিটাইজেশনের হাল দেখে বিরক্ত কমিশন
    এই সময় | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: ভোটার লিস্টে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (সার) প্রক্রিয়ায় এনিউমারেশন ফর্ম আপলোডের কাজ সময়ে শেষ করার জন্য মঙ্গলবার থেকেই বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) সঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট বিএলও নিয়োগের পথে হাঁটল দেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এ দিন কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। সেখানে কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণের ফর্ম ডিজিটাইজেশনের হাল নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কমিশন।

    কেন এই জেলাগুলিতে কাজ পিছিয়ে, তা কমিশনের কর্তারা জানতে চান সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও) কাছ থেকেও। সেখানে বিএলও-দের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও ওঠে। সূত্রের দাবি, জ্ঞানেশ ভারতী সাফ জানিয়ে দেন, সময়ে কাজ শেষ না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সব বিএলও এখনও মাত্র দু'শতাংশ বা তার কম ফর্ম অনলাইনে আপলোড করেছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট বিএলও নিয়োগ করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। দেখা গিয়েছে, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ মিলিয়ে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কলকাতা বন্দরের মতো কেন্দ্রগুলিতে ডিজিটাইজেশনের কাজ সবচেয়ে পিছিয়ে।

    ডেপুটি নির্বাচন কমিশনের ক্ষোভের মুখে পড়ে বৈঠক শেষেই উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, বেলেঘাটা-কাশীপুর সহ বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে অতিরিক্ত বিএলও নিয়োগের কাজ শুরু হয়ে যায়। এ দিনই মানিকতলায় ২০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে। এঁদের আলাদা করে বিএলও অ্যাপে লগ-ইন করার সুযোগ নেই। এঁরা ফর্ম আপলোড করতে বিএলও-দের সাহায্য করবেন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে ১,৯৭,৭১১টি অর্থাৎ ১৩.১৮% এনিউমারেশন ফর্ম ভোটারদের থেকে সংগ্রহের পরে বিএলও-রা ডিজিটাইজ় করেছেন। এর মধ্যে উত্তর কলকাতায় মাত্র ৪.৯১ শতাংশ, দক্ষিণ কলকাতায় ৫.৫২ শতাংশ কাজ হয়েছে। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়ায় ১৬ শতাংশের বেশি হয়ে গিয়েছে।

    রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, বিএলও-দের অ্যাপে ফর্ম আপলোড করার জন্য সোমবার বেশ কয়েক ঘণ্টা সমস্যা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। তাঁর দাবি, ছবি স্ক্যান করতেও আর বিশেষ সময় লাগছে না। তবে ভোটারের সব তথ্য যাচাই করার দায়িত্ব বিএলওদের।

  • Link to this news (এই সময়)