বছরের পর বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই অনেক রূপান্তরকামীদের। অনেকের বাবা–মা থাকলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই নেই। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর–এর মাধ্যমে ভোটার তালিকার নতুন সংশোধিত তালিকায় নাম থাকা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন রূপান্তরকামীরা। এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে হাজির হয়েছিল রূপান্তরকামীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে রূপান্তরকামীদের কোনও অসুবিধা হবে না। সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা মঙ্গলবার জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে সিইও দপ্তর।
রূপান্তরকামীদের দাবি, তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। অনেকের নাম ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকায় রয়েছে। কিন্তু যাঁদের নাম ওই তালিকায় নেই, তাঁদের জন্য গুরু মা-র নাম ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা। এই নিয়ে সিইও দপ্তরে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন রূপান্তরকামীদের সংগঠনগুলি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়। এরপর জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো নির্দেশিকায় সিইও দপ্তর জানায়, রূপান্তরকামীরা আত্মীয়ের জায়গায় নিজেদের গুরু মায়ের নাম ও তথ্য দিতে পারবেন। পাশাপাশি, তাঁরা যেন কোনও হেনস্থার সম্মুখীন না হন, তা–ও জেলাশাসককে দেখতে হবে।