সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই কুখ্যাত গ্যাংস্টার আনমোল বিষ্ণোইকে ভারতে ফেরত পাঠাল আমেরিকা। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মঙ্গলবার ২০০ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। সেই তালিকাতেই রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড আনমোল-সহ আরও দুই অপরাধী। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এই আনমোল। জানা যাচ্ছে, এই ২০০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকা থেকে আকাশে উড়েছে বিমান। বুধবার সকাল ১০টায় বিমানটির দিল্লিতে অবতরণের কথা।
লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোইকে মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ঘোষণা করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। ভারতে তাঁর বিরুদ্ধে কম করে ১৮টি গুরুতর অপরাধ মামলা রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বাবা সিদ্দিকি খুন, অভিনেতা সলমন খানের বাড়িতে গুলি, পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুন। এহেন অপরাধীর প্রত্যার্পণ দেশের তদন্তকারীদের বিরাট সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের তরফে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের শুরুতে আনমোলকে আলাস্কায় গ্রেপ্তার করেছিল মার্কিন গোয়েন্দারা। আমেরিকায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিল এই অপরাধী।
আনমোলকে যে আমেরিকা থেকে ফেরানো হচ্ছে মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “আমার পরিবার আমেরিকায় ভিকটিম পরিবার হিসাবে নিজেদের নথিভুক্ত করেছে। ভিকটিম নোটিফিকেশন থেকে আমরা আনমোল বিষ্ণোই সম্পর্কে আপডেট পাই। আজ সেখান থেকে একটি ইমেল পেয়েছি যে ১৮ নভেম্বর আনমোল বিষ্ণোইকে ভারতে পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমার দাবি, যদি তাকে আমেরিকা থেকে সরানো হয়, তবে তাকে ফিরিয়ে আনা হোক এবং রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন, তাকে মুম্বাইয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা হোক।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দশেরা উৎসব পালনের সময় গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় মুম্বইয়ের প্রভাবশালী নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তিনি বেশ জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। উৎসবের মরশুমে এহেন হত্যাকাণ্ড তোলপাড় ফেলে গোটা রাজ্যে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক না কি ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল, তা নিয়ে তখন ধোঁয়াশা দেখা দেয়। তদন্তে উঠে আসে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। জানা গিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের ষড়যন্ত্রেই এই হত্যাকাণ্ড চলে। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত আনমোলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জিশান আখতার এখনও দেশের বাইরে। তিনি কানাডাতেই রয়েছেন বলে দাবি। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে এখনও ভারতে ফেরানো সম্ভব হয়নি।