হিদমার পর ‘জঙ্গল যুদ্ধে’ খতম আরও ৭ মাওবাদী, লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফের বিরাট সাফল্য
প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু’, লাল সন্ত্রাসীদের এই দুইয়ের মধ্যে যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নিতে বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেইমতো ‘মাওবাদ’ শব্দটিকে দেশ থেকে মুছে ফেলতে জোরকদমে শুরু হল অভিযান। মঙ্গলবার ‘জঙ্গলের ত্রাস’ মাদভি হিদমাকে খতম করার পর গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল আরও ৭ মাওবাদীর। মৃতদের তালিকায় রয়েছে ৩ জন মহিলা সদস্যও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের পর বুধবার সকালেও অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় মারেদুমিল্লির জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তাবাহিনীর। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এপি ইন্টেলিজেন্সের এডিজি মহেশচন্দ্র লাদ্ধা বলেন, এদিনের অভিযান মঙ্গলবারের অভিযানেরই একটি অংশ ছিল। এখনও পর্যন্ত গুলির লড়াইয়ে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা সদস্যও রয়েছেন। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত একজনের পরিচয় জানতে পেয়েছি আমরা। ইনি মাওবাদী নেতা মেতুরি জোখা রাও ওরফে টেক শংকর। এই যুবক অন্ধ্র-ওড়িশা সীমান্ত অঞ্চলের এরিয়া কমিটির সদস্য। অস্ত্র তৈরির পাশাপাশি মাওবাদীদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন ইনি।
ওই পুলিশকর্তা আরও বলেন, মঙ্গলবারের এনকাউন্টারে কুখ্যাত মাওবাদী নেতা হিদমা-সহ মোট ৬ জনকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানের পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবারও চলে অভিযান। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ৭ মাওবাদীর। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের এনটিআর, কৃষ্ণা, কাকিনাড়া, কোনাসিমা এবং এলুরু জেলা থেকে ৫০ জন মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৪৫টি অস্ত্র, ২৭২ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন-সহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদকে পুরোপুরি নির্মূল করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। গত কয়েক মাসে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে আত্মসমর্পণ করেন কয়েকশো মাওবাদী। স্পষ্ট ভাষায় শাহ জানিয়েছেন, “যারা হিংসাত্যাগ করে মূল স্রোতে ফিরছেন তাঁদের স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা এখনও বন্দুক চালিয়ে যাবে তাঁদের নিরাপত্তা বাহিনীর মারণ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।”