বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা প্রয়াগের প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরতে গঠিত এক সদস্যের কমিটির কাজ নিয়ে মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কমিটি এবং ইডি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেনা। ৫০৭টি সম্পত্তির মধ্যে মাত্র একটি বিক্রি করা হয়েছে। দশ বছর ধরে সম্পত্তি ভোগ করছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাই। কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, গত দশ বছর ধরে কিছুই করেনি এই সংস্থার টাকা ফেরানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সদস্যের কমিটি। এখনও পর্যন্ত একজনও টাকা ফেরত পাননি। কোর্টের নির্দেশের পরে ১৭৯৫১টি টাকা ফেরতের আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৪৩৫টি আবেদন যাচাই করা হয়েছে এবং ১৬টি আবেদনে টাকা ফেরতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোজ় ভ্যালির টাকা ফেরতে গঠিত ‘অ্যাসেট ডিসপোজ়াল কমিটি’ (এডিসি)-র কাজ নিয়েও এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কোর্ট। এ দিন এডিসি-র আইনজীবী কোর্টে জানান, তাদের নামের সঙ্গে মিল আছে একটি চিনা ওয়েবসাইটের। সম্প্রতি চিন সরকারের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত দফতর এ ব্যাপারে নোটিস পাঠিয়েছে। সিবিআইকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আগে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করুক সিবিআই। ওই নোটিস ভুয়ো কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে বিবেচনা করবে কোর্ট।
উল্লেখ্য, এডিসি-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করাতে চায় হাই কোর্ট। এই কাজ ‘কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’ (সিএজি) করতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিল হাই কোর্ট। এ দিন বক্তব্য জানানোর জন্য ফের সময় চান কেন্দ্রের কৌঁসুলি। কোর্ট জানিয়েছে, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে কেন্দ্রকে।