খাদ্য সঙ্কটে নতুন ধানের দিশা নিয়ে চর্চা প্রেসিডেন্সিতে
আনন্দবাজার | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও সমাজে জিন এডিটেড ধানের (ধানের নিজস্ব জিনে বদল ঘটানো) প্রভাব নিয়ে এক দিনের জাতীয় সম্মেলনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, কৃষি অধিকার রক্ষা কর্মী, বীজ সংরক্ষণবিদ, সংবাদমাধ্যমের কর্মী থেকে নাগরিক সমাজ এক মঞ্চে এল সোমবার। জিনগত বদল ঘটানো (জিন মডিফায়েড, ধানের জিনে অন্য জিন যুক্ত করা) নতুন ধানের সঙ্গে জিন এডিটেড ধানের রকমফের নিয়ে নানা মতের ঠোকাঠুকিও দেখা গেল সভায়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেল্থ সায়েন্সেস, সমাজবিদ্যা এবং জীববিদ্যাবিভাগের উদ্যোগে আলোচনাসভাটি সম্পন্ন হয়।
প্রকৃতিতে নানা পরিবর্তনের পটভূমিতে খাদ্য সুরক্ষায় নতুন এই ধানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার তাৎপর্যের কথা বলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী, রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার প্রমুখ। গত মে মাসে বিশ্বের প্রথম দু’টি জিন এডিটেড ধানের আত্মপ্রকাশ ঘটে। যা চাষিদের ব্যবহারের জন্য সংসদের ছাড়পত্র পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বায়োটেকনোলজি দফতরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিষয়টি নিয়ে এ দিন নানা দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চের বিজ্ঞানীরাও ছিলেন সভায়। তবে জিন এডিটেড ধান প্রাকৃতিক বলা হলেও তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে।সমাজবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা নীলশ্রী ভট্টাচার্য বলেন, “কৃষি অর্থনীতি ও সার্বিক বাস্তুতন্ত্রে নতুন ধান দু’টির প্রভাব দেখতে হবে। পাশের বেগুন খেতে বা পরাগমিলনকারী মৌমাছিদের জন্য এই ধান ক্ষতিকর কিনা, সে সব প্রশ্নের উত্তরও জরুরি।” রাসায়নিক বা কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়া এই দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিস্মৃতপ্রায় ধানের গুরুত্বের কথাও উঠে এসেছে। পৌষ্টিক লাইফ বলে একটি মঞ্চ অতিথিদের সামনে এ রাজ্যের নানা চাল সম্ভারের বৈচিত্র মেলে ধরে।