• এসআইআর-এর চাপে ফাঁস দিয়ে নিজেকে শেষ করলেন বিএলও!
    আজকাল | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর এর চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী বিএলও। মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। নিউ গ্ল্যান্ড কো চা বাগান এলাকার ১০১ নম্বর পাটে ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বুধবার ভোরবেলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন শান্তিমনি এক্কা (৪৮)। তিনি ছিলেন এলাকার একজন আইসিডিএস কর্মী ও একই সঙ্গে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)। তাঁর এই হঠাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

    পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, এসআইআর সংক্রান্ত কাজের অতিরিক্ত চাপ ও মানসিক যন্ত্রণা তিনি বহুদিন ধরেই সহ্য করতে পারছিলেন না। নিয়মিতভাবে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি করতেন শান্তিমনি। দীর্ঘদিনের অবসাদে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলেই দাবি স্বামী ও সন্তানের। তাঁদের কথায়, কাজের চাপ এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তিনি প্রচণ্ড মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। এদিন ভোরেই এই চাপ আর সহ্য করতে না পেরে তিনি নিজের ঘরের পিছনে এক কোনায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই মালবাজার থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিকের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শান্তিমনি এক্কাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    অন্যদিকে মালবাজারে বিএলও'র মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।  তিনি জানান, এসআইআর শুরু হওয়ার পর রাজ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেউ প্রাণ হারিয়েছেন ভয় এবং অনিশ্চিত আশঙ্কায় আবার কেউ প্রাণ হারিয়েছেন মানসিক চাপ ও কাজের বোঝার জন্য। এটা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অপরিকল্পিত এবং বিরামহীন কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার কারণে। আগে যেই কাজটা তিন বছর ধরে হয়েছে সেটাই নির্বাচনের আগে দু'মাসের মধ্যে করে ফেলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এটার পিছনে উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করা। যার জন্য অমানুষিক চাপ পড়ছে বিএলওদের ওপর। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করছি বাস্তবাদী হয়ে উঠুন এবং আরো প্রাণ ঝরে যাওয়ার আগে পরিকল্পনাহীন এই কাজ থামান।




     
  • Link to this news (আজকাল)