• SIR শুরুর পর মৃত্যু ২৮ জনের, মমতার নিশানায় কমিশন
    আজকাল | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর চলছে বাংলায়। শুরুর পর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর। আতঙ্কে, আশঙ্কায়, এমনকী এই প্রক্রিয়ায় যাঁরা কাজ করছেন, কাজের চাপে তাঁদের মৃত্যুর খবরও উঠে এসেছে। পরপর মৃত্যুতে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। 

    এসআইআর এর চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী বিএলও। বুধবার ভোরবেলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন শান্তিমনি এক্কা (৪৮)। তিনি ছিলেন এলাকার একজন আইসিডিএস কর্মী ও একই সঙ্গে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)। ঘটনার পরেই, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। একইসঙ্গে তিনি নিশানা করেছেন কমিশনকে। পোস্টে এদিন মমতা লেখেন, 'SIR শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ কেউ ভয় ও অনিশ্চয়তার কারণে, আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত চাপের কারণে। তথাকথিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আরোপিত অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত, নিরলস কাজের চাপের কারণে এত মূল্যবান জীবন হারিয়ে যাচ্ছে।'




    মমতা ওই পোস্টেই লিখেছেন, আগে যে প্রক্রিয়ায় ৩ বছর সময় লাগত, এখন রাজনৈতিক কারণে, নেতাদের খুশি করার জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে ২ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে BLO-দের উপর অমানবিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

    এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তাও বলে দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। নিজের পোস্টেই তিনি নির্বাচন কমিশনকে অপরিকল্পিত অভিযান বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন। 

     শান্তিমনি এক্কার পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর সংক্রান্ত কাজের অতিরিক্ত চাপ ও মানসিক যন্ত্রণা তিনি বহুদিন ধরেই সহ্য করতে পারছিলেন না। নিয়মিতভাবে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি করতেন শান্তিমনি। দীর্ঘদিনের অবসাদে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলেই দাবি স্বামী ও সন্তানের। তাঁদের কথায়, কাজের চাপ এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তিনি প্রচণ্ড মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। এদিন ভোরেই এই চাপ আর সহ্য করতে না পেরে তিনি নিজের ঘরের পিছনে এক কোনায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই মালবাজার থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিকের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শান্তিমনি এক্কাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    প্রসঙ্গত, গতমাস থেকেই দেশজুড়ে ১২টি রাজ্যে চালু হয়ে যাচ্ছে এসআইআর। ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর চলবে এনুমারেশন ফর্ম প্রক্রিয়া। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ। ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি, ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

     
  • Link to this news (আজকাল)