পাটনা: ফল ঘোষণার পর মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। বিহার নির্বাচনে ২৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে একটিতেও জিততে পারেনি প্রশান্তর দল জন সুরাজ। মঙ্গলবার দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে প্রাক্তন ভোটকুশলী বলেন, ‘আমরা আমাদের দিক থেকে সদর্থক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকার বদল করতে পারিনি। আমাদের চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। কিন্তু মনে হয় কোথাও একটা ভুল হয়েছিল। মানুষকে বোঝাতে পারিনি। সেই দায় আমার। হারের কারণ খতিয়ে দেখা হবে। আমি একদিনের ‘মৌন উপবাস’ পালন করব।’
নবগঠিত দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে প্রশান্ত বলেছেন, ‘সিস্টেমের বদল তো দূরের কথা, আমরা ক্ষমতা বদল করবার মতো পরিস্থিতিতেও নেই। জনতা আমাদের উপর ভরসা করেনি।’ ভোটের আগে প্রশান্ত দাবি করেছিলেন, জেডিইউ ২৫টির বেশি আসন পেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে, কমা তো দূরের কথা, বরং নীতীশ কুমারের দলের আসন অনেকটাই বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের কথা রাখবেন প্রশান্ত? প্রশ্নের জবাবে অবস্থান বদলে ফেলেছেন জন সুরাজ নেতা। এবার তাঁর চ্যালেঞ্জ, ভোটের আগে শাসক শিবির দেড় কোটি মহিলাকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা পূরণ হলে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন।
বিরোধীদের ভোটচুরির দাবিতে অবশ্য সায় দেননি প্রশান্ত। তাঁর দাবি, ‘স্বাধীন ভারতে এই প্রথম বিহার সরকার সাধারণ মানুষের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটাই শাসক শিবিরের জয়ের কারণ। রাজ্যের মানুষ নিজেদের বা সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করেননি। প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় ৬০ থেকে ৬২ হাজার মহিলাকে দশহাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে সবমিলিয়ে দু’লক্ষ টাকা করে ঋণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে বলা হয়েছে, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় না এলে টাকা পাওয়া যাবে না। এই কাজে জীবিকা দিদিদেরও লাগানো হয়েছিল।’ ছবি: পিটিআই