• দেশভক্ত মুসলিম-খ্রিস্টানরাও ‘হিন্দু’, অসমের মাটিতে দাঁড়িয়ে বৃহত্তর হিন্দুত্বের বার্তা ভাগবতের
    প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদি মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা দেশমাতৃকার পূজারি হন, ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করেন (তাঁদের নিজস্ব রীতি ও ঐতিহ্য না ছেড়ে), তবে তাঁরাও আসলে ‘হিন্দু’। ফের বৃহত্তর হিন্দু সংস্কৃতির পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একংশের বক্তব্য, অসমের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভাগবতের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। কেন?

    দেশজুড়ে সংঘের শতবর্ষ উদযাপন চলছে। তারই অংশ হিসাবে সভা ছিল অসমে। এই অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবী, সম্পাদক, লেখকদের একাংশ। সেখানেই নিজের বক্তব্যে ভাগবত বলেন, “যাঁরা মাতৃভূমির প্রতি ভক্তি, পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমাদের সংস্কৃতির উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যান, তাঁরা সকলে হিন্দু। হিন্দুধর্মকে ধর্মীয় অর্থে নেওয়া উচিত নয়। হিন্দুধর্ম এবং হিন্দু সংস্কৃতি কেবল খাদ্য এবং পুজোই নয়।” এখানেই না থেমে সংঘপ্রধান বলেন, “এর (হিন্দু ধর্ম) অনেক মানুষকে গ্রহণ করার শক্তি রয়েছে। যদি মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা তাঁদের উপাসনা, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য ত্যাগ না করেও এই দেশের পুজো করেন, ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করেন এবং ভারতীয় পূর্বপুরুষদের নিয়ে গর্বিত হন, তাহলে তাঁরাও হিন্দু…।”

    ভাগবতের এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু অসমে বাসিন্দা মুসলিমদের একাংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভারতবিরোধিতার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা অসমের কিছু জেলার স্কুলগুলিতে ‘বন্দেমাতরম’ গাওয়ারও বিরোধিতা হয়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এরা বাংলাদেশ এবং ইসলামের প্রতি যতখানি অনুগত, ততখানি নয় নিজের দেশের প্রতি। যেখানে তাঁরা বাস করছেন, রোজগার করছেন। এহেন অসমে দাঁড়িয়ে ভাগবতের বৃহত্তরও হিন্দুত্বের বার্তা স্বভাবতই তাৎপর্যপূর্ণ।   

    প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিক বার বৃহত্তর হিন্দু সমাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাগবত। ২০২১ সালের মুম্বইয়ের এক সভায় তিনি দাবি করেন, হিন্দু-মুসলমানদের পূর্বপুরুষ এক, তাই দেশের প্রত্যেক নাগরিক হিন্দু। তিনি ব্যাখ্যা দেন, ভারতে ইসলাম ধর্ম এসেছিল আক্রমণকারীদের সঙ্গে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত দাবি করেন, ভারতের হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ একই। সে সময়ে ওই মন্তব্য ঘিরে বির্তক হয়েছিল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)