‘হারের হতাশায় কমিশনকে নিশানা’, রাহুলকে তুলোধোনা প্রাক্তন বিচারপতি-আমলাদের
প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারলেই ভোটচুরির অভিযোগ! কখনও ইভিএমকে দোষারোপ, কখনও নির্বাচন কমিশনারদের আক্রমণ, কখনও গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলা। রাহুল গান্ধীর এই ‘স্বভাব’কে এবার তুলোধোনা করলেন দেশের প্রাক্তন সেনাকর্মী, প্রাক্তন বিচারপতি, এবং আমলাদের একাংশ। লোকসভার বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে খোলাচিঠিতে তাঁদের বক্তব্য, “হারের হতাশা থেকে বারবার নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন রাহুল।”
ওই খোলা চিঠিতে ২৭২ জন সই করেছেন। এদের মধ্যে ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ১২৩ জন প্রাক্তন আমলা, ১৩৩ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক। তাঁদের বক্তব্য, “যেভাবে ভারতের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নেমে আসছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই আক্রমণ শক্তি প্রয়োগ করে হচ্ছে না। হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে একটি স্বশাসিত সাংবিধানিক সংস্থার উপর বিষেদগারের মাধ্যমে। কিছু রাজনৈতিক নেতা নীতিগত কোনও বিকল্প তুলে ধরতে না পেরে উসকানিমূলক এবং ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলেই চলেছেন।”
ওই খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বশসিত সংস্থাগুলির উপর নিয়মিত আক্রমণ চলছে। প্রথমে সেনার বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করল, তারপর বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল, সংসদের সাংবিধানিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল, এবার নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করছে। পদ্ধতিগতভাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন-সহ দেশের একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে ভোটচুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিহার নির্বাচনের একদিন আগে বিজেপিকে তোপ দেগে রাহুল অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যাপক ভোটচুরি হয়েছে। তাঁর দাবি, হরিয়ানায় ২ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৫ লক্ষ ভোটারই ভুয়ো। এর আগে কর্নাটক, মহারাষ্ট্রেও ভোটচুরির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এমনকী বিহারে ব্যাপক পরাজয়ের পর সে রাজ্যেও ভোটচুরির অভিযোগে সরব হয়েছে হাত শিবির। সেই নিয়েই এবার পালটা সরব প্রাক্তন আমলারা।