• বন্ধ পাক আকাশসীমা, বাড়ছে বিমানযাত্রার খরচ! এবার এয়ার ইন্ডিয়ার মুশকিল আসান করবে চিন?
    প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা এবং পরবর্তী অপারেশন সিঁদুরের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ পাকিস্তানের আকাশসীমা। ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি পড়শি দেশের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারায় বেড়েছে সমস্যা। বিমানগুলিকে ঘুরপথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফলে ক্রমাগত বাড়ছে খরচ। এই অবস্থায় চিনের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চাইছে এয়ার ইন্ডিয়া।

    জুন মাসে লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদে ভেঙে পরে। এই ঘটনায় ২৬০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পর ফের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছ টাটা। কিন্তু এপ্রিলের শেষের দিকে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে সমস্যা বেড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। বিভিন্ন নথি থেকে জানা গিয়েছে, পাক আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলির জ্বালানি খরচ প্রায় ২৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশপাশি কিছু দূরপাল্লার রুটে ভ্রমণের সময় প্রায় তিন ঘন্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার ফলে কর জমা দেওয়ার আগে হওয়া মুনাফার উপর বার্ষিক প্রভাব পড়েছে ৪৫৫ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪৩৯ মিলিয়ন ডলার।

    এয়ার ইন্ডিয়ার অনুমান, চিনের হোটান রুটে বিমান চলার সুযোগ পেলে অতিরিক্ত জ্বালানি এবং বিমান চলাচলের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। নিউ ইয়র্ক- এবং ভ্যাঙ্কুভার-দিল্লির মতো রুটে প্রতি সপ্তাহে আনুমানিক ১.১৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি কমতে পারে।

    বিপুল লোকসান সামাল দিতে টাটা গ্রুপের মালিকানাধিন এয়ার ইন্ডিয়া চাইছে চিনের জিনজিয়াংয়ের অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি। চিনা আকাশসীমার এই অংশে বিশ্বের ২০ হাজার ফুট অথবা তার থেকেও বেশি উঁচু কিছু পর্বত রয়েছে। ডিকম্প্রেশনের ঘটনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলি এই রুট এড়িয়ে চলে।

    অন্যদিকে, চিনা আকাশসীমার এই অংশ পিপলস লিবারেশন আর্মির ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মধ্যে পড়ে। ভারতের বিরুদ্ধে চিনা সামরিক কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র এই কমান্ড। এই অংশ বিপুল পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। এই রুট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় সময়সা জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের জন্য বিমানবন্দর না থাকা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)