খোঁজ মিলছে না আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ ছাত্র-কর্মীর! দিল্লি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রকারী?
প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের পরই নজরে আসে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের জেহাদি কার্যকলাপ। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনে গরমিলের হদিশ মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কর্মী-সহ ১০ জনের খোঁজ মিলছে না। তদন্তকারীদের অনুমান, এরাও দিল্লি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রকারী।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ১০ জনের খোঁজ মিলেছে তাদের মধ্যে তিন জন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারীর বলছেন, অভিযুক্ত প্রত্যেকের ফোন বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের অভিযানের পর থেকেই খোঁজ মিলছে না ওই ছাত্র এবং কর্মীদের। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে হলেও গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লা চত্বরে হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে নিখোঁজ দশ জন যুক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবারই জানা গিয়েছে, লালকেল্লার পার্কিং লটে গাড়িতে বসেই বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বোমা তৈরি করে আত্মঘাতি জঙ্গি উমর উন-নবি ওরফে উমর মহম্মদ। তার আগে ঘটনার দিন সকালে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছিল সে। সরাসরি যোগাযোগে ছিল জঙ্গি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের দুই ষড়যন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। পাশাপাশি, তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ও। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহতা।