সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাঁকুড়া থেকে রাস্তা তৈরির কাজে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন যুবক। তিনদিন পরে ওই যুবকের মৃতদেহ মিলল এলাকার এই পুকুরে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। উড়েলচাঁদপুরের একটি পুকুরে দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম দীপক ভূঁইয়া। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই যুবকের তিন সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
মগরাহাটের উড়েলচাঁদপুর এলাকায় পিচের রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা ওই রাস্তা তৈরির কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাঁকুড়া থেকে কাকার সঙ্গে কাজে গিয়েছিলেন দীপক ভূঁইয়া। ওই এলাকারই একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি। তিনদিন আগে ওই যুবক হেডফোন কিনবেন বলে রূপচাঁদ মুদি, রাজু মুদি ও বাপন মুদি নামে তিন সঙ্গীর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। ওই তিনজন পরে বাড়ি ফিরে এলেও দীপক ফেরেননি! তাঁর খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। দীপক কোথায়, সেই বিষয়ে ওই তিন যুবক কোনও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
আজ, বুধবার সকালে ঘোষপাড়া এলাকায় একটি পানাপুকুরে ওই যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। মগরাহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই যুবককে কি খুন করা হয়েছে? কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ওই যুবক? সেসব প্রশ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য পুলিশ ওই তিন সঙ্গীকে আটক করেছে। মৃতের কাকা পশুপতি ভূঁইয়া বলেন, “তিনজনের সঙ্গে মোবাইলের হেডফোন কিনতে বেরিয়ে ভাইপো আর ফেরেনি। যে তিনজনের সঙ্গে বেরিয়েছিল তারাই ফোন করে জানায় দীপককে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিন সকালে পানাপুকুর থেকে ভাইপোর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়িতে খবর পাঠিয়েছি।”