ইউটিউবে ভিডিও দেখে ‘এসআইআর আতঙ্ক’, বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের
প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৫
কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: ইউটিউবে ভিডিও দেখে ‘এসআইআর আতঙ্ক’ বেড়েছিল! সেই আতঙ্কেই এবার মৃত্যু বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের! মৃত ব্যক্তির নাম সেরফুল শেখ হক। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদায়। তিনি কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন বলে খবর। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছলেই শোকের ছায়া এলাকায়। ওই ব্যক্তি এসআইআর আতঙ্কে ভুগছিলেন বলে তাঁর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের বালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক সেরফুল শেখ হক। কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। পরিবারের দাবি, এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও তিনি দেখতেন বলে খবর। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তারপরও তাঁর আতঙ্ক কিছুতেই কাটছিল না! শুধু তাই নয়, শ্যামনগর গ্রামের স্থানীয় বিএলও রবি মালিত্যাকেও তিনি বেঙ্গালুরু থেকে ফোন করেছিলেন। তাঁকে বাংলাদেশে চলে যেতে হবে, সেই আশঙ্কার কথাও রবিকে সেরফুল আতঙ্কিত হয়ে বলেছিলেন! কোনও সমস্যার মধ্যে তিনি পড়বেন না, সেই বিষয়ে আশ্বস্তও করেছিলেন বিএলও। তবুও তিনি কিছুতেই আতঙ্কমুক্ত হতে পারছিলেন না বলে খবর।
আজ, বুধবার সকালে হঠাৎই তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে আনার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দুঃসংবাদ বাড়িতে পৌঁছলে কান্নার রোল ওঠে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়াতেও এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার যদুরহাটি পূ্র্ব এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সফিকুল মণ্ডল। তাঁর বয়স ৫৮ বছর। পরিবারের দাবি, ওই তালিকায় সফিকুলের নাম থাকলেও পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম ছিল না। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রৌঢ়। দেশছাড়া হওয়ার ভয় জাঁকিয়ে বসেছিল তাঁর মনে। অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতেই কীটনাশক খান ওই প্রৌঢ়।