আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেলথ সলিউশনের আড়ালে কোটি কোটি টাকার প্রতারনা চক্র! টাকা ফেরত নিতে এসে অফিস তালা বন্ধ দেখে অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দিলেন প্রতারিতরা। ঘটনা হুগলির চুঁচুড়ার খাদিনামোরের। ফির হেরাফেরি সিনেমায় টাকা ডবল করার চক্রে ফেঁসেছিলেন রাজু শ্যাম আর বাবু ভাইয়া। আর চুঁচুড়ার প্রতারনা চক্রে অল্প সময়ে বেশি মুনাফার প্রলোভনে পা দিয়ে ফেঁসেছেন প্রতারিতরা।
হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতারিতরা এসে জড়ো হন খাদিনামোড়ে ওই চিটফান্ড অফিসে। হেলথ সলিউশন নামে একটি অফিস খুলে তার আড়ালে চলত শেয়ার ট্রেডিংয়ে অল্প সময়ে বেশি মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার কারবার। গত দু'বছরে কয়েক মানুষ লাখ লাখ টাকা রেখেছেন ওই সংস্থায়। মাসে কখনও চার কখনো ছয় বা বারো শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে সর্বশান্ত হন অনেকে।
তাঁরাই আজ টাকা আদায় করতে গিয়ে দেখেন শাটার বন্ধ। তখনই প্রতারিতরা ব্যানার ঝুলিয়ে দেন বলে খবর স্থানীয় সূত্রে। প্রতারিতদের অভিযোগ, চড়া সুদের প্রলোভন ছিল। তাঁদের কোর্ট পেপারে চুক্তি করে টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রথম কয়েক মাস সুদের টাকা দিলেও তারপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রতারিতরা ওই সংস্থার কর্নধার তুষার কান্তি মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রতারিত রেজাউল মল্লিক বলেন, 'আমাদের সঙ্গে প্রতারনা করা হয়েছে। আসল টাকা ফেরত দিক। আমরা নিজেরা টাকা রেখেছি আবার অন্যদেরও রাখতে বলেছি। তাঁরা এখন আমাদের ছাড়ছেন না। আগে অফিসে বলতে এসে হুমিকির শিকার হয়েছি।'
বারাসতের বাসিন্দা অমিত কুন্ড বলেন, 'আমি নিজে ২৫ লাখ টাকা রেখেছি। বারসাত থেকে মোট আড়াই কোটি টাকা জমা করেছি। সেই সব টাকা আত্মস্যাৎ করেছে এই প্রতারনা চক্র।
এর আগে জানুয়ারি মাসে সামনে এসেছিল আরও একটি ঘটনা। মুর্শিদাবাদ এবং পার্শ্ববর্তী বীরভূম জেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি দ্রুত লোন করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার পুলিশ বারাসতের তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল। ধৃত ব্যক্তিদের নাম অশোক কুমার সিং, গোপাল মন্ডল এবং সাগর গাজী। তিনজনেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত-দত্তপুকুর থানা এলাকায়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, গত কয়েক বছর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে ওঠা চিটফান্ড কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন।